চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাহিদুর রহমান (৮৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
Advertisement
মাহিদুর রহমান রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। এছাড়া হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতাও ছিলো তার। অসুস্থ অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল তাকে রামেক হাসপাতালে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন জানান, হৃদরোগে ও কিডনি জটিলতায় মারা গেছেন মাহিদুর রহমান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ ছিলো। ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের দাদনচক গ্রামের মাহিদুর রহমান গ্রেফতার করে পুলিশ।
Advertisement
১৯৭১ সালের ৬ অক্টোবর সকাল ছয়টা থেকে পরদিন ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত পাকসেনা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবপুর থানার চাঁদশিকারী, চামাটোলা, বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদশিকারী গ্রাম থেকে ২০০ গজ পশ্চিমে ফিরোজের আম বাগান এবং কবিরাজটোলায় যৌথ আক্রমণ চালায়। এ সময় তারা গ্রামগুলো থেকে ৩৯ জনকে আটক করে। এক পর্যায়ে নির্যাতনের পর ৩৯ জনের মধ্য থেকে ২৪ জনকে হত্যা করে। আর এ হত্যাযজ্ঞে স্থানীয় রাজাকার মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটু সহায়তা করেন।
প্রথম এ অভিযোগে প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০১৫ সালে ২০ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ রায় দেন। আরেকটি অভিযোগে পাঁচ বছরের করে কারাদণ্ড দেয়া হয় তাদের।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএ/পিআর
Advertisement