১৭ বছর বয়সের ছোট্ট ফার্নান্দো তোরেস; তখনও বাড়ির মায়া ত্যাগ করতে পারেননি। ২০০১ সালের মে মাসে লেগানেসের বিপক্ষে অভিষেক। জুন মাসেই ওইটুকু বয়সে প্রথম গোল। সবকিছুই যেন স্বপ্নের মত যাচ্ছিল তোরেসের কাছে। কিন্তু যে কোন স্বপ্নেরই যে সমাপ্তি রয়েছে। তোরেসের জীবনেও সেই অ্যাটলেটিকো স্বপ্নের সমাপ্তি ঘটলো রোববার।
Advertisement
তবে অ্যাটলেটিকোকে বিদায় জানালেও এখনোই ফুটবল থেকে অবসর নিচ্ছেন না তিনি। এইবারের বিপক্ষে লিগের সর্বশেষ ম্যাচে ২-২ গোলের ড্রয়ে শেষটাকে দলগতভাবে রাঙাতে না পারলেও নিজের বিদায়ী ম্যাচে জোড়া গোল করে ব্যক্তিগতভাবে বিদায়টাকে স্মরণীয় করে রাখলেন ফার্নান্দো তোরেস। তোরেসের ফুটবল অধ্যায়ের শুরুটা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে। হয়েছিলেন ক্লাবের সর্বকণিষ্ঠ অধিনায়কও। বর্তমানে অ্যাটলেটিকোর কোচ ডিয়েগো সিমিওনে এই তোরেস অধিনায়ক থাকাকালীন ম্যাচে একসঙ্গে খেলেছিলেন। ৭ বছর অ্যাটলেটিকোতে কাটালেও নিজের সেরা ফর্মের সময়েই তাকে থাকতে হয়েছে লিভারপুলে। এখানে বসেই ‘এল নিনো’ ডাক নামে বেশি পরিচিত হন তিনি।
এক সময়ের দুর্ধর্ষ এই স্ট্রাইকার লিভারপুলের, চেলসি হয়ে ফর্মহীনতায় এসি মিলানে লোনে পর্যন্ত খেলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে আবারো স্থায়ীভাবে ফিরে আসেন নিজের পুরনো তাবুতে। অ্যাটলেটিকোর জার্সি গায়ে সব মিলিয়ে খেলেছেন ৪০৪টি ম্যাচ। যেখানে তার গোল সংখ্যা ১২৯টি। লা লিগায় ২৮১ ম্যাচে করেছেন ১০২ গোল। অ্যাটলেটিকোর হয়ে লিগে একশো গোল করা পাঁচ খেলোয়াড়ের একজন হলেন তোরেস।
তোরেসের জন্য মনে রাখার মত এক বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তোরেসের বিদায়বেলায় তাকে জয় উপহার দিতে ব্যর্থ হয় ডিয়েগো সিমিওনের দল। ম্যাচের ৩৫ মিনিতে এইবারের কিকে গোল করলে এগিয়ে যায় এইবার। বিরতির আগেই ৪২ মিনিটে তোরেসের গোলে সমতায় ফেরে অ্যাটলেটিকো। ৬০ মিনিটে দিয়েগো কস্তার এসিস্টে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে তোরেস।
Advertisement
প্রায় দীর্ঘ এক বছর পর অ্যাটলেটিকোর হয়ে জোড়া গোল করলেন তিনি। তবে ৭১ মিনিটে রুবেন পেনা এইবারের হয়ে গোল শোধ করলে ২-২ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় অ্যাটলেটিকোকে। এর ফলে ৩৮ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করলো তোরেসরা। আরআর/এমআরএম