জাতীয়

‘আমরা লজ্জিত অনুতপ্ত’

রাজধানীর নিউ মার্কেটের মতো অভিজাত এলাকার আটটি ফাস্টফুড দোকানে পচাবাসি, দুর্গন্ধময় খাবার বিক্রি করায় ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, ক্রেতা ও সাধারণ মানুষের মতো বিস্মিত মার্কেটটির দোকান মালিক সমিতির নেতারা।

Advertisement

রোববার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে ছুটে আসেন দোকান মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. জুম্মন। অভিযানকালে বিভিন্ন ফাস্টফুড দোকানে পচাবাসি চিকেন বার্গার, পিৎজা, শর্মা, লাচ্ছি, চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, কাটলেট, পাউরুটি, নান, বিফ মিট, চিকেন ভেজিটেবলস, স্যুপ, কাবাব, খিচুরি, মাংস, সস, তেল, ঘি, দই, লাচ্ছি, আপেল, কমলা দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি। ম্যাজিস্ট্রেট মো. মসিউর রহমান তাকে ডেকে ফাস্টফুডের নামে দোকানে কি ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি হচ্ছে? তখন তিনি বলেন, এ ঘটনার জন্য আমরা লজ্জিত ও অনুতপ্ত।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এসব ফাস্টফুড বাইরের মানুষের চেয়ে দোকান মালিক ও কর্মচারীরাই বেশি খেয়ে থাকেন। তিনি নিজেও মেহমান এলে এসব দোকানের খাবার কিনে এনে খাওয়ান। কিন্তু আজকের অভিযানে পচাবাসি খাবার বিক্রি দেখে নিজেও বিস্মিত।

তিনি বলেন, দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে তারা প্রায়ই দোকানদারদের ডেকে উন্নতমানের স্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করতে নির্দেশ দেন। তারাও স্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করেন বলেই সব সময় দাবি করেন। কিন্তু বাস্তবে আজ দেখলেন কি খাবার বিক্রি হচ্ছে। অভিযানের পুরোটা সময় জুড়ে তিনি ঘুরে ঘুরে অভিযান দেখেন।

Advertisement

অভিযানের শেষ পর্যায়ে আসেন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেওয়ান অামিনুল ইসলাম শাহিন। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, দোকানদার সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু আজ অভিযানকালে ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে যে নিম্নমানের খাবার উদ্ধার করা হয়েছে তা মোটেই কাম্য নয়। তাদের কারণে মার্কেটের বদনাম হয়েছে। এসব দোকান মালিকদের কাছে কৈফিয়ত চাইবেন বলে জানান।

এমইউ/জেএইচ/এমএস