নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন তুলে দেয়ার পাশাপাশি জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় কমানো হচ্ছে বিষয়-নম্বরও। গত ৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
Advertisement
এবার আসন্ন এ পরীক্ষা থেকে নম্বর ও বিষয় কমানোর বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে পরবর্তী জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায়।
রোববার এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় সাতটি বিষয়ে মোট ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি বিষয়ে মোট ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়।
Advertisement
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, জেএসসিতে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা হবে। ইংরেজিতেও দুই পত্র মিলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এখন দুই পত্রের জন্য দুটি পরীক্ষা হয়, দুটি পত্র মিলিয়ে মোট নম্বর থাকে ১৫০।
প্রস্তাব অনুযায়ী, চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তবে গণিত, ধর্ম, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা আগের মতো আগের নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
এ পরীক্ষা থেকে তুলে দেয়া হবে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন। এ সংক্রান্ত আগামী ২৭ মে এনসিসিসির সভা ডাকা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
গত ৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান এই দুই পরীক্ষায় নম্বর ও বিষয় কমানোর প্রস্তাব করেছিলেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Advertisement
এমএইচএম/বিএ/পিআর