কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি না করায় বি. চৌধুরীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতারা।
Advertisement
শনিবার ঢাকা লেডিজ ক্লাবে রাজনীতিবিদদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। এতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বর্তমানে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে হতাশা ব্যক্ত করেন এবং দেশ রক্ষায় নতুন শক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
ইফতার মাহফিলেই তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায় বিএনপি জোটের শরিক লিবারেল ডোমেক্রেটিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বি. চৌধুরী যখন বক্তব্য দেয়, তখনই আমি দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছি। বিএনপির বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ জোটের বেশ কয়েকজন নেতা আমার প্রতিবাদের বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন।
Advertisement
আমি বলছি, বি. চৌধুরীর মতো একজন রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক মঞ্চে এসে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইবে না। এটা হতে পারে না। তিনি দুই দলের সমালোচনা করে নতুন শক্তির কথা বলেছেন। তার বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। এতে আমরা ক্ষুব্ধ।
ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, বি. চৌধুরীর মতো একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ বিএনপির মঞ্চে এসে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইবেন না, ভিন্ন শক্তি খুঁজবেন-আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) সভাপতি খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা জাগো নিউজকে বলেন, বি. চৌধুরী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক মঞ্চে এসে অগণতান্ত্রিক শক্তি খুঁজেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেননি। তিনি তৃতীয় শক্তির কথা বলেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন তাই তাকে ক্ষমা চাইতে বলিনি। আমরা তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
কেএইচ/এএইচ/জেআইএম
Advertisement