আইসিসির বিরুদ্ধে কথা বলায় এবার পিসিবি কারণ দর্শাতে বলেছে পাকিস্তান ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজকে। ৩৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার এখন পর্যন্ত মোট তিনবার অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৭’র অক্টোবরে আবারও অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বোলিং থেকে। এরপর থেকেই আইসিসির ওপর বেজায় চটে আছেন হাফিজ। এমনকি আইসিসির সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়েই ‘সন্দেহ’ পোষণ করেন তিনি।
Advertisement
প্রশ্নই করে বসলেন আইসিসির অবৈধ বোলিং নির্ণয় পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে। বিবিসি উর্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাফিজ বলেন, ‘যতটুকু কনুই ভাঁজ করা যায়, আমি তার আশপাশেই থাকি; কিন্তু আমি বুঝি না মাঠের আম্পায়াররা কিভাবে এত নিখুঁত ভুলগুলোও ধরে ফেলে। যেখানে অনেকে ৩৫ ডিগ্রি পর্যন্ত কনুই বাঁকিয়েও মাফ পেয়ে যায়। সেখানে কিভাবে আমার ১৬ ডিগ্রি হলেই বুঝে ফেলেন তারা?’
তবে তার এই বক্তব্য মোটেও ভালোভাবে নেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সাথে সাথে পিসিবিও সে পথে হেঁটেছে। সাথে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার বিষয়ে হাফিজের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছে পিসিবি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাকে নিয়ে এরকম খোলাখুলি বক্তব্য নিয়ে প্রচণ্ড নাখোশ পিসিবি! হয়ত এজন্য শাস্তিও পেতে যাচ্ছেন হাফিজ।
কিছুদিন আগেই একইভাবে কোচ মিকি আর্থারের সাথে ঝামেলায় জড়ানোর কারণে নিষিদ্ধ হন আরেক পাক ক্রিকেটার উমর আকমল। তিনি নিষিদ্ধ হন ২ মাসের জন্য। সুতরাং, শাস্তি প্রায় অবধারিতভাবেই অপেক্ষা করছে হাফিজের জন্য।
Advertisement
২০০৫ সালে সর্বপ্রথম অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হন হাফিজ। অবশ্য তখন অবৈধ বোলিং অ্যাকশন নির্ণয় পরীক্ষা এত কঠিন ছিল না বলে দ্রুতই মাঠে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গিয়ে দ্বিতীয়বারের মত নিষিদ্ধ হন তিনি। এক বছরের জন্য তখন নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। বোলিং অ্যাকশন পাল্টেই আবার তাকে ফিরে আসতে হয় ক্রিকেটে।
এসএস/আইএইচএস/জেআইএম