রাজনীতি

রাজনীতিবিদদের ইফতারেও ফাঁকা খালেদার চেয়ার

কারাবন্দি খালেদা জিয়ার চেয়ারটি ফাঁকা রেখেই অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ রাজনীতিবিদদের নিয়ে ঢাকার লেডিস ক্লাবে ইফতার করলেন বিএনপি নেতারা। রাজনীতিবিদদের নিয়ে ইফতার হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বাম দলগুলো থেকেও কাউকে ইফতার মাহফিলে দেখা যায়নি। অন্যদিকে গণফোরাম সভাপতি লন্ডনে অবস্থান করায় তিনি ইফতারে যোগ দিতে পারেননি বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

Advertisement

দ্বিতীয় রোজায় বিএনপির এই আয়োজনে দলীয় চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতি মঞ্চে রাজনীতিবিদদের পাশে তার আসন শূন্য রাখা হয়।

মঞ্চে খালেদা জিয়ার শূন্য চেয়ারের এক পাশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

অতিথি সারিতে বসে ইফতার করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি‘র আসম আবদুর রব, তার স্ত্রী তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক।

Advertisement

এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

২০ দলীয় জোটের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পারোয়ার, আবদুল হালিম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, সেলিম উদ্দিন, মোবারক হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, মাওলানা আবদুল করিম, খেলাফত মজলিশের মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, বিজেপি‘র আবদুল মতিন সউদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এসএমএম আলম, আহসান হাবিব লিংকন, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, সাহাদাত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এম এম আমিনুর রহমান, শাহিদুল রহমান তামান্না, জাগপার রেহানা প্রধান, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, লেবার পার্টির দুই অংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গনি, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, পিপলস লীগের গরিবে নেওয়াজ, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দুই অংশের মাওলানা নুর হোসাইন কাশেমী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান, কামাল ইবনে ইউসুফ, শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল মান্নান, আমীনুল হক, জয়নাল আবেদীন, রুহুল আলম চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, গোলাম আকবর খন্দকার, জিয়াউর রহমান খান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আনহ আখতার হোসেইন, সুজাউদ্দিন, আবদুল কাইয়ুম, শাহিদা রফিক, নজমুল হক নান্নু, আব্দুল কুদ্দুস, মামুন আহমেদ, এনামুল হক চৌধুরী, ফরহাদ হালিম ডোনার, জিএম ফজলুল হক, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদ, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিরিন সুলতানা, হারুনুর রশীদ, কায়সার কামাল, ফাওয়াজ হোসেন শুভ, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিমউদ্দিন আলম, দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল বারী ড্যানি, শহিদুল ইসলাম বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, অঙ্গসংগঠনের কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আনোয়ার হোসেইন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, হাফেজ আব্দুল মালেক, শাহ মো. নেসারুল হক, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ইফতারে অংশ নেন।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নজরুল ইসলাম মঞ্জুও ইফতারে ছিলেন।

Advertisement

ইফতারের আগে কারাবন্দি ‘অসুস্থ’ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আরোগ্য লাভসহ দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

কেএইচ/জেএইচ/জেআইএম