ধর্ম

সাহরি খাওয়ার সময় কতক্ষণ?

রমজান মাস ইবাদতের বসন্তকাল। এ মাসে কিয়ামুর রমজান তথা তারাবিহ আদায় করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়। ফলে তারাবিহ পড়ে ঘুমানোর আগে অনেকেই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ফজরের আগে ওঠে আর সাহরি গ্রহণ করেন না।

Advertisement

অথচ প্রিয়নবির ঘোষণা হলো নূন্যতম খেজুর বা পানি দ্বারা হলেও সাহরি গ্রহণ করা। তাহলে সাহরি গ্রহণের সময় মূলত কখন?

আরও পড়ুন > আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে আজকের দোয়া 

সাহরি খাওয়ার সময়

Advertisement

সাহরি খাওয়ার সময় শুরু হয় মধ্যরাত থেকে। আর শেষ হয় ফজরের আগে। তবে ফজরের আগে তথা শেষ রাতে সাহরি গ্রহণ করাই হলো মোস্তাহাব।

যদি কেউ মধ্যরাতের আগে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে; তবে তাকে সাহরি গ্রহণের জন্য শেষ রাতে ওঠতে হবে। আর মধ্যরাতের পরে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সাহরি খাওয়ার বরকত ও হুকুম আদায় হয়ে যাবে।

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যায়েদ বিন সাবেত তাকে জানিয়েছেন যে, তাঁরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে সাহরি খেয়ে (ফজরের) নামাজ পড়তে ওঠে গেছেন।

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘সাহরি খাওয়া ও ফজরের আজান হওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান কতটুকু? উত্তরে যায়েদ বিন সাবেত রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ’৫০ অথবা ৬০ আয়াত পড়তে যতক্ষণ সময় লাগে।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি)

Advertisement

আরও পড়ুন > কী খেলে সাহরি খাওয়া হয়? 

৫০/৬০ আয়াত বলতে মধ্যম ধরনের আয়াত। যা তেলাওয়াতে ১৫/২০ মিনিট সময় লাগবে। সে আলোকে ফজরের আজানের ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে সাহরি খাওয়া। অতএব সাহরি খাওয়ার সুন্নাত সময় হলো ফজরের ১৫/২০ মিনিট আগে সাহরি খাওয়া।

উল্লেখ্য যে, সাহাবায়ে কেরাম ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে ইফতার করতেন আর সাহরি শেষ সময়ে গ্রহণ করতেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সাহাবাদের অনুসরণে শেষ সময়ে সাহরি গ্রহন করার এবং যথাসময়ে ইফতার গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি