জ্যৈষ্ঠের ৫ তারিখ আজ। প্রখর রোদে যখন প্রকৃতির রুদ্ররূপ দেখার কখা ছিল, তখন ঝরছে স্বস্তির বারি। গ্রীস্মের দাবদাহে রোজা রাখা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন অনেকেই। তবে ভোর রাত থেকে ঝরছে অঝোর ধারা। শীত শীত অনুভূতিতে মোটামুটি ভালই আছেন চট্টগ্রামের রোজাদারেরা।
Advertisement
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চট্টগ্রামে ‘অস্বাভাবিক বেশি’ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অতি সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খানিকটা বেশি।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা সুজিত কান্তি ধর জাগো নিউজকে বলেন, ‘বৈশাখের শেষে বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। তবে টানা বৃষ্টিটা অস্বাভাবিক বেশি বলে মনে হচ্ছে। এ বৃষ্টিপাত আরও দু’ একদিন থাকতে পারে।’
বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় স্বাভাবিকের চাইতে বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল একটু ছেড়ে কথা বললেও আজ (শনিবার) আবার ফিরে এসেছে স্বমহিমায়। একদিন ঝড় বৃষ্টি না হওয়ার সুযোগে গতকাল তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আজ তা নেমে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসে ঠেকেছে।
Advertisement
শনিবার ভোর থেকে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায় টানা বৃষ্টি শুরু হয়। কখনও হালকা, কখনও ভারি আকারে মুষলধারে এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে দুপুর পর্যন্ত।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুজিত কান্তি ধর জাগো নিউজকে জানান, ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীতে ৪৫.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পরিমাণ পানি জমে গেছে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে টানা ৫ ঘণ্টার বৃষ্টিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়েন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী লোকজন। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশনের কোনো উদ্যোগের সুফল পাচ্ছেন না নগরবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর চকবাজার, বিবিরহাট, কাপাসগোলা, বাদুড়তলা, আগ্রাবাদ সিডিএ, হালিশহর, বাকলিয়া, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট ও চান্দগাঁওয়ের নিচু এলাকায় হাঁটুপানি জমে যায়। মুরাদপুর, ২নং গেইট ও বহদ্দার হাটে সড়কের উপরেও হাঁটু পানি জমে গেছে। পানিতে যানবাহন আটকে পড়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা সাদিকুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘অল্প বৃষ্টিতেই মুরাদপুর থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত হাঁটু পানি জমে গেছে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তবে রমজানে এমন বৃষ্টি মানুষের ক্লান্তি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।’
বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি এলেই সিটি কর্পোরেশন নালা-নর্দমা পরিষ্কার করে আবর্জনাগুলো সড়কের ওপর ফেলে রাখে। বৃষ্টির পানিতে সেগুলো আবার নালায় পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এমএমজেড/এমএস