বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় করলো শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। টান টান উত্তেজনার এক ম্যাচে বৃহস্পতিবার তারা ৩-২ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। আর এ জয়ে ২০১০, ২০১৩-১৪ মৌসুমের পর তৃতীয় পেশাদার ফুটবল লিগের শিরোপাও জিতে নিল তারা।১৮ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামাল এখন সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বাকী আরও দুই ম্যাচ। তাতে হেরে গেলেও কিছুই হবেনা শেখ জামালের। শিরোপা জামালেরই থাকবে কারণ কোনও দলেরই এই পয়েন্ট টপকানোর সাধ্য এখন নেই। ১৮ ম্যাচে মোহামেডানের সংগ্রহ ৩৪ পয়েন্ট।বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলার ছয় মিনিটে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পায় শেখ জামাল। মোহামেডান মিডফিল্ডার হাবিবুর রহমান সোহাগ বক্সের ওপর থেকে নিয়েছিলেন চমৎকার এক বাকাঁনো ফ্রি-কিক। জামাল গোলরক্ষক সোহেল ফ্লাইটে পরাস্ত হলেও বল আঘাত হানে জামালের ক্রসপিসে।সোহাগ ও মোহামেডানের দীর্ঘশ্বাসটা আরও দীর্ঘ হলো ২৯ মিনিটে। যখন আবারও আরেকটি ফ্রি-কিক থেকে গোল পেলো না মোহামেডান। এবার নিজের ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন জামাল গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল।তবে প্রথম আঘাতেই লক্ষ্য ভেদ করে শেখ জামাল। ৩৩ মিনিটে অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের বাঁ পান্ত থেকে হাওয়ায় ভাসানো কর্নারে হেড করে দলকে এগিয়ে দেন জামালের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডারলিংটন।তবে জামালের আনন্দটা বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩ মিনিট পর অর্থাৎ ৩৬ মিনিটে সমতা আনে মোহামেডান। গিনিয়ান ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা বল নিয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে পড়েন জামালের দুর্গে। মাপা একটি ব্যাক পাস দেস আগুয়ান উইঙ্গার জুয়েল রানাকে। ঠাণ্ডা মাথায় দূরের পোস্টে বল প্লেস করে দেন জুয়েল। তখন উল্লাসে ফেটে পড়ে মোহামেডান গ্যালারি।জামাল তখনও এই গোলের আঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আর এর মাঝে মোহামেডানকে দ্বিতীয় গোল উপহার দেন ইসমাইল বাঙ্গুরা। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে অরুপ বৈদ্যর করা ক্রসে জোরালো হেড করে দলকে এগিয়ে দেন গিনির এই ফরোয়ার্ড।বিরতির পর সংঘবদ্ধ হয়ে খেলা শুরু করে শেখ জামাল আর ৫৫ মিনিটেই আবার খেলায় ফিরে আসে তারা। এবার উৎসের ভূমিকায় ছিলেন এমেকা ডারলিংটন। ডান প্রান্ত থেকে করা তার মাপা ক্রস খুঁজে পায় ওয়েডসন অ্যানসেলমেকে। যিনি কোনাকুনি হেডে বল ফেলেন দূরের পোস্টে।এই গোল ফিরিয়ে দেয় জামালের আত্মবিশ্বাস। আর ধীরে ধীরে তারা এগিয়ে যায় জয়ের লক্ষ্যে। আর এই পথে দলকে এগিয়ে দেন ল্যান্ডিং ডারবো। বক্সের ওপরে পাওয়া ফ্রি-কিকটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি গাম্বিয়ান এই মিডফিল্ডার। মোহামেডানের করা দেয়ালের ওপর দিয়ে তিনি বল ফেলেন কাছের পোস্টে। ৭৫ মিনিটে করা এই গোলটিই নিশ্চিত করে দেয় শিরোপা শেখ জামালের ঘরেই থাকছে। এএইচ/এমএস
Advertisement