খেলাধুলা

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিরসনে আইসিসির কমিটি গঠন

মাঠ এবং মাঠের বাইরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব সর্বদাই থাকে তুঙ্গে। খেলার বাইরের রাজনৈতিক ইস্যুতে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির কিছুই করার নেই। তবে ক্রিকেট মাঠে চির প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের মধ্যকার সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।

Advertisement

মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার জের ধরে ২০০৮ সালের পর থেকে পাকিস্তানের সাথে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলা থেকে বিরত রয়েছে ভারত। ২০১২ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট দল ভারত সফর করলেও, সেটি ছিল শুধুমাত্র ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই দুরত্ব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০১৪ সালের এপ্রিলে ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৬টি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার চুক্তি করে ভারত এবং পাকিস্তান। যা লিপিবদ্ধ করা হয় আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যানেও (এফটিপি)।

কিন্তু নিরাপত্তা পরিস্থিতি অসন্তোষজনক দেখিয়ে ২০১৪ সালের নভেম্বর এবং ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২টি সিরিজ বাতিল করে দেয় ভারত। এই দুইটি সিরিজেরই স্বাগতিক দেশ হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারত সিরিজ বাতিল করে দেয়ায় আলোর মুখ দেখেনি এই দুই সিরিজ। এরপর আরও ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আর হয়নি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কোন সিরিজ।

ভারতের এমন সিদ্ধান্তের কারণে ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের দুই সিরিজে নিজেদের ৭০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে পাকিস্তান। পরে গতবছর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে এই ক্ষতিপূরণ দাবি করে আইনি নোটিশ প্রেরণের হুমকি দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কিন্তু নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে বিসিসিআই। তাই দুই দেশের মধ্যকার এই দ্বন্দ্ব নিরসনেই ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে আইসিসি।

Advertisement

আইসিসি এই দ্বন্দ্ব নিরসন কমিটির প্রধান হিসেবে থাকছেন মাইকেল বেলফ। এই কমিটিতে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন জ্যান পলসন এবং ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন অ্যানাবেল বেনেট। এই কমিটির অনুমোদন দিয়ে আইসিসি আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে লিখে, ‘যেহেতু দুই পক্ষের(ভারত এবং পাকিস্তান) কেউই নিজেদের মধ্যে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না, তাই এই বিষয়ে সিদ্ধান্তে নেবে আইসিসির দ্বন্দ্ব নিরসন কমিটি। তারা আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হবে এবং পুনরায় ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন পথ খোলা রাখবে না।’

তবে এখনই অনুমোদন পেয়ে গেলেও, খুব শিগগিরই শুরু হচ্ছেনা এই কমিটির কাজ। চলতি বছরের অক্টোবরের ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে এব্যাপারে আনুষ্ঠানিক শুনানি করবে এই কমিটি এবং দুই দেশকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।

এসএএস/এমএস

Advertisement