স্পট ফিক্সিংয়ের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন বছর দুয়েক আগে। মাঠে নেমে নিয়মিত পারফর্মও করছেন সালমান বাট। কিন্তু কলঙ্কিত এই ক্রিকেটারের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছেন না পাকিস্তানের নির্বাচকরা। এমন উপেক্ষার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না এই ওপেনার। আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের টেস্ট দলে জায়গা না পাওয়ায় রীতিমতো হতাশ ৩৩ বছর বয়সী বাট।
Advertisement
২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়েছিলেন সালমান বাট। তার সঙ্গে ছিলেন আরও দুই ক্রিকেটার-মোহাম্মদ আমির আর মোহাম্মদ আসিফ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আমির তো নিয়মিতই দলে খেলে যাচ্ছেন। কিন্তু সালমান, আসিফদের বেলায় অন্যরকম ভাবনা নির্বাচকদের। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে, ফিটনেস প্রমাণ করেও নজরে আসতে পারছেন না।
ইংল্যান্ড সফরকে সামনে রেখে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। কঠিন সফরে অবশ্যই অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দেয়া উচিত। কিন্তু সালমান বাটের কথা ভাবেননি নির্বাচকরা। ইংল্যান্ডের মাটিতে কলঙ্ক গায়ে জড়ানোর পর সেটা ভুলিয়ে দিতে আরেকটি সুযোগের আশায় ছিলেন এই ওপেনার।
হতাশা প্রকাশ করে বাট বলেন, ‘কি হতো সেটা বলার কোনো মানে হয় না। তবে আমার জন্য দারুণ হতো, যদি টেস্ট দলে জায়গা পেতাম। এটা আমাকে শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগই করে দিতো না, ইংল্যান্ডের মাটিতে ভালো করার সুযোগও দিতো। সমর্থক এবং সমালোচকদের সামনে দায়মোচনের একটা সুযোগ হতে পারতো এটা, যেখানে আমি ২০১০ সালে ভয়ংকর একটা ভুল করেছিলাম।’
Advertisement
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করছেন বলে খোদ প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হকও প্রশংসা করেছেন বাটের। কিন্তু কি কারণে তাকে দলে নেয়া হচ্ছে না, সেটাই বুঝতে পারছেন না এই ওপেনার, ‘আমি দলে জায়গা পাওয়ার জন্য নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছি। আমার দিক থেকে আমি কঠোর অনুশীলন করছি, সামনের মৌসুমগুলোতেও ভালো করার লক্ষ্য ঠিক করে রেখেছি। এমনকি প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হকও আমাকে বলেছিলেন, পাকিস্তান দলে দেখার আশা করেন। আমি জানি না, কি তাকে এটা করা থেকে বিরত রেখেছে।’
এমএমআর/পিআর