নির্বাচনের আগে সংসদ নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবির) রিপোর্ট উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
Advertisement
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
দশম জাতীয় সংসদে কোরাম সঙ্কট এবং অন্যান্য কারণে ১৫২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট অপচয় হয়েছে, এতে খরচ হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা' টিআইবির এমন রিপোর্টের কঠোর সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ পৃথিবীর সব সংসদেই কিন্তু কম বেশি কর্মঘণ্টা অপচয় হয়। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে শীতকালীন অধিবেশনে ১৫ কর্মঘণ্টা অপচয় হওয়ায় ৭৩ কোটি রুপি অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ১০০ কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। টিআইবিকে বলব, গবেষণা যখন করেছেন ব্রিটিশ, ইউএস, ভারতীয় পার্লামেন্ট নিয়েও একটু গবেষণা করেন এবং গবেষণা করে তখন পাবেন বাংলাদেশে যে কর্মঘণ্টা অপচয় হয়েছে এবং এর সঙ্গে যে অর্থ সংশ্লেষ তা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। পৃথিবীর সব কর্মযজ্ঞেই সময়ের অপচয় হয়। সুতরাং তথাকথিত গবেষণার নামে এই রিপোর্ট প্রকাশের উদ্দেশ্য হচ্ছে সংসদকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং গণতন্ত্রের যাত্রাকে ব্যাহত করা।
Advertisement
টিআইবিকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির অসামান্য অর্জনগুলো নিয়ে আপনাদের কোন রিপোর্ট হয় না কেন? মহাকাশে যে আজকে বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে তা নিয়ে আপনাদের রিপোর্ট হয় না কেন? এটিই আজকে আপনাদের কাছে আমার এবং জাতির পক্ষ থেকে প্রশ্ন।
'নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ করতে হবে' বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর সাম্প্রতিক এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, খেলায় যখন কেউ হেরে যায় তখন বলে রেফারি খারাপ ছিল আর নাচতে কেউ না জানলে তখন বলে উঠানটা বাঁকা ছিলো। এখন বিএনপির বক্তব্য হচ্ছে নির্বাচনের মাঠ বাঁকা ছিল, রেফারিও খারাপ ছিল।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, নির্বাচনে পরাজয়ের কারণগুলো বিশ্লেষণ করে আগামী নির্বাচনে কিভাবে আপনারা সাফল্য লাভ করতে পারেন তার জন্য প্রচেষ্টা চালান এবং বিএনপিকে খালেদা জিয়া ও তারেক চক্র থেকে বের করে আনুন তাহলে বিএনপি রক্ষা পাবে।
Advertisement
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে অালম মুরাদ, সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়িকা অরুণা বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।
এইউএ/জেএইচ/পিআর