পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ সাফল্য, ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বাগতিক ফ্রান্সের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে (১০৯ মিনিটে) গোল করে পর্তুগিজদের সোনালি সাফল্যে উদ্ভাসিত করে তোলেন এডার।
Advertisement
অথচ মাত্র দুই বছরের মাথায় সেই স্ট্রাইকারই চলে গেলেন বাতিলের খাতায়। রাশিয়া বিশ্বকাপে পর্তুগালের প্রাতমিক স্কোয়াডে থাকলেও, ২৩ সদস্যের মূল স্কোয়াড থেকে তার নাম বাদ দিয়েছেন কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।
ইউরোজয়ী দলের আরও বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড়কে বাদ দেয়া হয়েছে রাশিয়াগামী পর্তুগালের মূল দল থেকে। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এবং বর্তমানে ল্যাজিওর উইঙ্গার ন্যানি। রয়েছেন বার্সেলেনোর মিডফিল্ডার আন্দ্রে গোমেজ এবং বায়ার্ন মিউনিখে খেলা রেনাতো সানচেজ।
অনুমিতই ছিল, পর্তুগিজ দলের নেতৃত্ব থাকবে রিয়াল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কাছে। সেটাই হলো। তাকে নেতা নির্বাচন করেই ফার্নান্দো সান্তোস ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন।
Advertisement
কোচ সান্তোস বলেন, ‘ইউরোজয়ী সব খেলোয়াড়কে বিশ্বকাপের দলে নিতে পারছি না, এটা আমার জন্য দুঃখজনক। তারা সবাই পর্তুগিজ ফুটবল ইতিহাসে গৌরবান্বিত একটি অধ্যায় লিখে দিয়েছেন। তবে, রাশিয়ার জন্য আমি দল বাছাই করতে গিয়ে তাদেরকেই নিয়েছি, যারা পর্তুগাল ফুটবলকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে পারবে।’
পর্তুগালের ২৩ সদস্যের মূল দল গোলরক্ষক : অ্যান্থোনি লোপেজ, বেতো, রুই প্যাট্রিসিয়া।ডিফেন্ডার : ব্রুনে আলভেজ, কেডরিক, হোসে ফন্তে, মারিও রুই, পেপে, রাফায়েল গুয়েরেইরো, রিকার্ডো পেরেইরা, রুবেন ডিয়াজ। মিডফিল্ডার : অ্যাদ্রিয়েন সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, হোয়াও মারিও, জোয়াও মুতিনহো, ম্যানুয়েল ফার্নান্দেজ, উইলিয়াম কার্ভালহো। ফরোয়ার্ড : আন্দ্রে সিলভা, বার্নার্ডো সিলভা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, জেলসন মার্টিন্স, গনক্যালো গুয়েদেস, রিকার্ডো কারেসমা।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement