সোমবার অনুষ্ঠিত পশ্চিমবঙ্গের তিন স্তরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেতে যাচ্ছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে এমন আভাসই পাওয়া গেছে।
Advertisement
তবে কোথাও কোথাও ধাক্কাও খেতে হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, বীরভূমের মহম্মদবাজার, মল্লারপুর, পূর্ব বর্ধমানের ভাতার, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার কিছু অংশ।
জঙ্গলমহল বা উত্তরবঙ্গের চা-বলয়ের পঞ্চায়েতগুলোতে আবার বিজেপি ভালো করেছে। পরের লোকসভা ভোটের আগে এ বিষয়টি চিন্তায় রাখবে তৃণমূলকে।
আরও পড়ুন : তৃণমূল নেতার অভিযোগ, বাংলাদেশিদের দিয়ে ভোট লুটের চেষ্টায় বিজেপি
Advertisement
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে অশান্তির অভিযোগ ছিল শুরু থেকেই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুথ দখল, বোমা হামলা ও দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হন। এ ছাড়া সিপিএমের এক কর্মীকে সস্ত্রীক পুড়িয়ে মারার অভিযোগও উঠেছে।.
তৃণমূলের জয়ের রাজনৈতিক ব্যাখ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এবং মাওবাদী মিলে একসঙ্গে লড়েছে। রাজনীতি আদর্শের উপরে হয়। এখানে কোনো আদর্শ নেই। তবু তৃণমূল ৯০% আসনে জিতেছে।’
তৃণমূলের চেয়ে অনেক পিছনে থাকলেও তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে এই পঞ্চায়েতে উঠে এসেছে বিজেপি। ফলে বিজেপি শিবিরেও রয়েছে স্বস্তির ধারা। তাদের দাবি, তৃণমূলের ‘হিংস্র শক্তি’র মোকাবিলা করেও এই ফলাফল তাদের পক্ষে ইতিবাচক। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘আমরা দ্বিতীয়ই ছিলাম। এ বার তৃণমূলের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলব।’
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সংঘর্ষ, নিহত ১১
Advertisement
অবশ্য বাম ও কংগ্রেস এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে অভিযোগ করেছে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, ‘অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটেনি। রেজাল্ট নয়, গণতন্ত্রের প্রতি রি-ইনসাল্ট হল! বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত তৈরি করে সাত বছরে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রথম কথা রাখলেন।’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, ‘গণনা কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকে ছাপ্পা দিয়ে বৈধ ভোটকে অবৈধ করা হচ্ছে। এই নির্বাচন প্রহসন। বাংলায় স্বাভাবিক রাজনীতির পরিস্থিতি ফেরাতে হলে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আর উন্নয়নে বাধা— এই নিয়ে কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। পারবেও না!’
আনন্দবাজার।
এনএফ/এমএস