দেশজুড়ে

রসিকের ১৭৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) সাবেক মেয়রের আমলে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৭৭ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। নিয়োগ বিধিসম্মত না হওয়ায় তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী আকতার হোসেন আজাদ।

Advertisement

এদিকে ১৭৭ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করে শূন্যপদে নতুন করে ১৫০ জনকে নিয়োগ দেয়ারও পরিকল্পনা চলছে। ইতোমধ্যে নিয়োগের অনুমতি চেয়ে ৩ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করেছেন সিটি মেয়র। সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম শ্রেণির রংপুর পৌরসভাকে ২০১২ সালের ২৮ জুন সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়। তখন ৫০১ জন কর্মচারীর মধ্যে ২০৫ জনের চাকরি স্থায়ী হলেও ২৯৬ জন কর্মচারী অস্থায়ী থেকে যান। এদের মধ্যে রংপুর পৌরসভার মেয়র থাকাকালে আব্দুর রউফ মানিক ১১৯ জন এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর আমলে ১৭৭ জনকে অস্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়। এসব কর্মচারী নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করছিলেন। কিন্তু বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয়ার পর ৪ মার্চ ২৯৬ জন কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে দেন। তাদের নিয়োগ বিধিসম্মত হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি করে দেন। তদন্ত কমিটি গত রোববার মেয়রের কাছে প্রতিবেদন দেয়।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী আকতার হোসেন আজাদ বলেন, আমরা কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেছি, তাদের নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া অবৈধ ছিল। তাই অস্থায়ীভাবে নিয়োাগ পাওয়া ১৭৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের কাছে থাকা সব ফাইলপত্র বুঝিয়ে দিয়ে যেতেও বলা হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশনের চাকরিচ্যুত সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা গোলজার হোসেন আদর বলেন, আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আমি আমার কাছে থাকা ফাইল বুঝিয়ে দিয়েছি।

Advertisement

মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, নিয়োগ বিধিসম্মত না হওয়ায় ১৭৭ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। বকেয়া বেতন পরিশোধ করে তাদের অব্যাহতিপত্র দেয়া হবে। এছাড়া নতুন করে ১৫০ জন কর্মচারী নিয়োগের অনুমতি চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। অনুমতি না পেলে দিন মজুরি ভিত্তিতে ১৫০ জন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হবে।

জিতু কবীর/এফএ/এমএস