স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশের সার্বিক ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সব সরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য চিকিৎসক-নার্স প্রস্তুত এবং পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন মজুদ আছে।
Advertisement
তবে ডায়রিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন। বিশেষ করে যেসব এলাকায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি সেখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে দেশের সার্বিক ডায়রিয়া পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। সভায় জানানো হয়, এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় দেশে এখনো ডায়রিয়ার প্রকোপ কম। তবে ঢাকা বিভাগে ডায়রিয়া রোগীর হার বেশি।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নগরায়নের ফলে নদী বা জলাশয়ের পানি দূষিত হচ্ছে। ফলে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। অন্যদিকে উন্মুক্ত স্থানে খাবার গ্রহণও এই রোগের অন্যতম কারণ। এজন্য সাধারণ মানুষকে পানি ফুটিয়ে খাবার জন্য এবং খাবার আগে হাত ধোয়াসহ সকল সতর্কতামূলক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।
Advertisement
তিনি তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদেরসহ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদারে এগিয়ে আসার নির্দেশ প্রদান করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডায়রিয়া প্রতিরোধে বিভিন্ন সেক্টরের সমন্বিত কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। বিশেষ করে পানি শোধনের জন্য ডায়রিয়াকে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে করে পানিবাহিত ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা যায়।
সভায় অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর, আইসিডিডিআরবি, সিটি কর্পোরেশন এবং ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/বিএ
Advertisement