রাশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর একাতেরিবার্গে ৬১ বছর আগে সেন্ট্রাল স্টেডিয়াম নামে তৈরি হয়েছিল এ স্টেডিয়ামটি। অ্যাথলেটিকসহ বহুমুখি খেলায় ব্যবহার হতো এ স্টেডিয়ামটি। তখন দর্শক ধারণ ক্ষমতা ছিল মাত্র ২৭ হাজার। এই ক্যাপাসিটিই বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিশ্বকাপের ভেন্যু হওয়ার ক্ষেত্রে। ২০১১ সালে স্টেডিয়ামকে আধুনিকায়ন করা হয়েছিল; কিন্তু দর্শকদের জন্য আসন ছিল আগের মতোই। ব্যাস, ফিফাও বেঁকে বসে- এ ভেন্যু বিশ্বকাপের জন্য উপযুক্ত নয় বলে।
Advertisement
ফিফা বলেছে- হবে না। আর যায় কোথায়? রাশিয়া সরকারকে আবার হাত দিতে হয় স্টেডিয়াম ফিফার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আধুনিক করতে। ব্যাপক সংস্কারের সঙ্গে দর্শক ধারণ ক্ষমতা ২৭ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৩৫ হাজার। ফিফার মন গলে- স্টেডিয়াম পায় ২০১৮ বিশ্বকাপের ১২ ভেন্যুর একটির মর্যাদা।
বিশ্বকাপ সামনে রেখেই প্রায় চার বছর ধরে চলেছে এ স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলোর মধ্যে একাতেরিনবার্গ দ্বিতীয়- যা পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছে। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামকেও এভাবে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। ফিফার সর্বশেষ পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মুখে হাসিই ফুটেছে। কারণ, স্টেডিয়ামটির মাঠ থেকে শুরু করে গ্যালারি- সবকিছুই অত্যাধুনিক করা হয়েছে।
বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের ঠিক ২ মাস আগে এ স্টেডিয়াম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ১৫ এপিল স্বাগতিক এএফসি উরাল ও স্পার্টাক মস্কোর মধ্যে ম্যাচ দিয়েই নতুন করে ফুটবল গড়ায় এ স্টেডিয়ামে। ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় অতিথি দলটি।
Advertisement
একাতেরিনবার্গ শহরের ফুটবল ক্লাব এফসি উরাল প্রিমিয়ার লিগের বেশকিছু ম্যাচ এখানে হোম ভেন্যু হিসেবে খেলেছে। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের এ শহরের স্টেডিয়ামে হবে এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ। বিশ্বকাপের প্রথম চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে, ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এ স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে একটি করে ম্যাচ খেলবে। ১৫ জুন সুয়ারেজ-মোহাম্মেদ সালাদের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে অভিষেক হবে এ স্টেডিয়ামের।
এখানে ফ্রান্স খেলবে ২১ জুন পেরুর বিরুদ্ধে। ২৪ জুন এশিয়ার জাপান ও আফ্রিকার সেলেগাল মুখোমুখি হবে একাতেরিনবার্গে। শেষ ম্যাচ মেক্সিকো ও সুইডেনের মধ্যে ২৭ জুন।
বিশ্বকাপে একাতেরিনবার্গে অনুষ্ঠিত হবে যে ম্যাচগুলো
তারিখ
Advertisement
ম্যাচ
রাউন্ড
১৫ জুন
মিশর-উরুগুয়ে
এ গ্রুপ
২১ জুন
ফ্রান্স-পেরু
সি গ্রুপ
২৪ জুন
জাপান-সেনেগাল
এইচ গ্রুপ
২৮ জুন
মেক্সিকো-সুইডেন
এফ গ্রুপ
আরআই/আইএইচএস/পিআর