খেলাধুলা

তবু ইসরায়েলে খেলতে যাবে মেসির আর্জেন্টিনা!

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা, সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুতাবাস স্থানান্তর নিয়ে চলছে মুক্তকামী ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি ইতিমধ্যে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গাজা উপত্যকা যখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে, তখন ইসরায়েলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনা। দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে এ খবর।

Advertisement

বিশ্বকাপ শুরুর আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচটি ইজরায়েলে গিয়ে তাদের বিপক্ষে খেলার সূচি আগে থেকেই নির্ধারিত মেসির আর্জেন্টিনার; কিন্তু ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইজরায়েলের চলমান অস্থিরতার কারণে ওই ম্যাচটি বাতিল হওয়ার সমূহ সম্ভবান দেখা দিয়েছিল। সারা বিশ্বব্যাপি দাবি উঠেছিল, ফিলিস্তিনিদের ওপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে হলেও আর্জেন্টিনা ইসরায়েলে গিয়ে ম্যাচটি খেলবে না। অথচ, টাইমস অব ইসরায়েল জানাচ্ছে, নির্ধারিত সময়েই প্রীতি ম্যাচ খেলতে ইসরায়েলে আসবেন মেসি-হিগুয়েইনরা।

ফিলিস্তিনের সাথে চলমান সহিংসতার জের ধরেই শুরুতে সফর বাতিল করতে উদ্যত হয়েছিল আর্জেন্টিনা। আর্জেনাটাইন ফুটবল দলের সাথে খেলা দেখতে আসার কথা ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট মাউরিসিও ম্যাক্রির। তিনিও তার সফর বাতিল করে দিয়েছেন এরই মধ্যে। প্রীতি ম্যাচের আয়োজকরাও ভাবছিলেন ইসরায়েল থেকে ম্যাচটি সরিয়ে স্পেনে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে।

কিন্তু সব সংশয় শেষ করে দিয়ে আয়োজকরা এবার জানিয়েছে, যে কোন মূল্যে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচটি ইসরায়েলেই হবে। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনও এতে সায় দিয়েছে। তবে নিরাপত্তার খাতিরে ইসরায়েলের নতুন রাজধানী জেরুজালেম থেকে সরিয়ে হাইফায় স্থানান্তরিত করা হতে পারে ম্যাচটি। আর্জেন্টিনার এই প্রীতি ম্যাচের ব্যাপারে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবেন আয়োজকরা।

Advertisement

রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরুর সপ্তাহখানেক আগে, আগামী ৯ জুন ইজরায়েলের বিপক্ষে খেলার সূচি নির্ধারিত রয়েছে আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপের আগে এটিই হবে মেসিদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। ম্যাচ শেষে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে রাশিয়া চলে যাবেন মেসি-হিগুয়াইনরা।

এদিকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচকে ঘিরে ইসরায়েলের তুমুল উত্তেজনা কাজ করলেও, পার্শ্ববর্তী দেশ ফিলিস্তিনে চলছে ওই ম্যাচ বিরোধী নানা প্রচারণা। ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মতে, ইসরায়েলের চলমান সহিংসতার পর আর সেই দেশে ‘সম্প্রীতি’ বলতে কিছু নেই। তাই ইসরায়েলে মেসিদের প্রীতি ম্যাচ খেলতে আসা সম্পূর্ণ অমূলক।

এসএএস/আইএইচএস/পিআর

Advertisement