সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত চতুর্থ ও শেষ ধাপের পরীক্ষা পহেলা জুন অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৫ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ধাপে ১৪ জেলায় পরীক্ষা হবে। এতে রয়েছে, গাজীপুর, নরসিংদী, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম, সাতক্ষীরা, যশোর, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলা। এছাড়া নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, পার্বত্য অঞ্চলের বাকি তিন জেলায় কোটাভিত্তিক স্থানীয়ভাবে নিয়োগ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে জেলার কেন্দ্রওয়ারী পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলার প্রার্থীদের পরীক্ষার সময় ও কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় তথ্য মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি টেলিটকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসনে রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৪’ পরীক্ষার মাধ্যমে ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নেয়া হবে। তার বিপরীতে সারাদেশ থেকে প্রায় ছয় লাখ আবেদন জমা পড়েছে। মামলার কারণে বিগত চার বছর প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে। চলতি বছরের মার্চে আবারও এ কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষা ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন দেশের ১২ জেলায় এ পরীক্ষা হয়। সেখানে প্রায় দুই লাখ প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা ১১ মে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় তিন লাখ প্রার্থী অংশ নেন। আগামী ২৬ মে ও পহেলা জুন ২৯ জেলায় চার লাখের বেশি প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
Advertisement
এ বিষয়ে ডিপিই অতিরিক্ত মহাপরিচালক রমজান আলী জাগো নিউজকে বলেন, তৃতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করার কথা থাকলেও তা দুটি ভাগে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে ২৬ মে এবং পরবর্তীতে পহেলা জুন অবশিষ্ট জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা চিঠি দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানকে (টেলিটক বাংলাদেশ) সার্বিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রার্থীদের পরীক্ষার সময় ও প্রবেশপত্র প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলী এবং পরীক্ষা-সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য www.dpe.gov.bd এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
এমএইচএম/ওআর/জেআইএম