আইন-আদালত

খনি দুর্নীতি : খালেদার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) প্রত্যাহার করেছেন আদালত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শাহ ইমরানের আদালতে খালেদা জিয়ার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করার আবেদন করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করেন বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

তিনি বলেন,আজ চার মামলায় খালেদা জিয়ার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। শুধু বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করেছেন আদালত। এ ছাড়া গ্যাটকো ও নাইকো দুর্নীতি মামলায় উচ্চ আদালতের আদেশ পাওয়ার পর শুনানি হবে। ৪ জুন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের শুনানি হবে।

Advertisement

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৬ জুন দিন ধার্য রয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এই মামলায় অন্য আসামি খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

Advertisement

আদালত বলেছেন, বয়স ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কম সাজা দেয়া হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। রায়ের পরই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয় বেগম জিয়াকে। দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের সাজা দেয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

জেএ/জেডএ/জেআইএম