জাতীয়

প্লট নয় সাংবাদিকদের দেয়া হবে ফ্ল্যাট : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতোমধ্যে সাংবাদিকদের অনেক প্লট দেয়া হয়েছে। সংখ্যানুপাতিক হারে একক পেশাজীবী হিসেবে আমার মনে হয় সাংবাদিকরাই বেশি প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন। এভাবে প্লট না দিয়ে একস্থানে সাংবাদিকদের জন্য জায়গা দিলেই ভালো হতো।

Advertisement

তিনি বলেন, সরকার এখন বিভিন্ন পেশাজীবীদের জন্য হায়ার পারসেজে ফ্ল্যাট প্রকল্প গ্রহণ করছে। এখানে সাংবাদিকরাও ভাড়ার টাকা পরিশোধ করে ফ্লাটের মালিক হতে পারেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলন ২০১৮-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব ওমর ফারুক। অন্যান্যের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, ময়মনসিংহের সভাপতি আতাউল করিম, কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, বগুড়ার সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টু, রাজশাহীর সভাপতি কাজী শাহেদ, নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আব্দুস সালাম, যশোরের সভাপতি সাজেদ হোসেন, কক্সবাজারের সভাপতি আবু তাহের, খুলনার সভাপতি জাহিদ হোসেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই নিহত সাংবাদিকদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীর নেতৃত্বে দশজন সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীকে ক্রেস্ট প্রদান করেন। এছাড়া ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি তরুণ তপন চক্রবর্তী ও সম্পাদক আল মামুন সাংবাদিকদের বরাদ্দ দেয়ার জন্য জমির কিছু কাগজপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী সুশীল সমাজের সমালোচনা করে বলেন, দেশে কিছু লোক আছে, যারা দলও গঠন করতে পারে না, নির্বাচনও করতে পারে না। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশটা আছে। যদি অবৈধ পন্থায় কেউ ক্ষমতা দখল করে, অথবা ইমার্জেন্সি বা মিলিটারি রুলার ক্ষমতা নেয়, তখন তাদের গুরুত্বটা বাড়ে। তখন তারা নাকি একটা পতাকা পায়। এটাই হচ্ছে দেশের দুর্ভাগ্য। এরা জ্ঞানী-গুণী হয়েও এ ধরনের পাপ মন নিয়ে কাজ করে। দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আছে। গণতন্ত্র আছে বলেই তো দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুশীল সমাজের লোকজন ও কিছু বুদ্ধিজীবী একাধারে টকশোতে সরকাররের বিরুদ্ধে বলছেন। আবার কেউ কেউ মাইক নিয়েও বলছেন। এরপর যখন তারা বলেন, কথা বলার স্বাধীনতা নেই। তখন আমার প্রশ্ন, তাহলে এতো কথা বললেন কীভাবে? অনলাইন মিডিয়া এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার একটা নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। আমি জানি না সাংবাদিকরা কেন আতঙ্কিত হচ্ছেন নীতিমালা নিয়ে। আওয়ামী লীগ তো কখনও হয়রানি করে না। দেশে একটা মানসিক ব্যাধি আছে। অনেকে মনে করে সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন না করলে গণমাধ্যম চলবে না। এ মানসিক ব্যাধি থেকে বের হতে হবে। দেশের জন্য যদি ভালো কাজ করে থাকি, সেটা যেন একটু ভালোভাবে প্রচার করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে দেশে আসার পর আজ (১৭ মে) ৩৭ বছর পূর্ণ হলো। তবে দুঃখের কথা আমি কখনও প্রেস থেকে খুব বেশি সহযোগিতা পাইনি। সব সময় একটা বৈরিতা নিয়েই এগুতে হয়েছে। সমালোচনার মুখোমুখি হয়েই এগুতে হয়েছে। কিন্তু আমি সেগুলো নিয়ে কখনও মাথা ঘামাইনি। কারণ, আমি জানি আমি কী কাজ করছি। ন্যায় এবং সত্যের পথে থাকলে, সৎ পথে থাকলে ফলাফল পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের শাসনামল তুলনা করলেই বুঝতে পারবেন কি করছি। গত ৯ বছরে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন আওয়ামী লীগ সরকার কি করছে।

Advertisement

এফএইচএস/এএইচ/জেআইএম