এক হাজার মণ পাকা আম ধ্বংস করেছে র্যাব। আম ধ্বংস শুরুর পরই আড়ত এলাকায় গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। হাজার মণ আমের রসে পিচ্ছিল হয়ে যায় যাত্রাবাড়ীর সড়ক।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে যৌথভাবে অভিযানে নামে র্যাব ও বিএসটিআই। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় প্রতিষ্ঠানের ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করেন। সঙ্গে খেজুরের দোকানে অভিযানে চালিয়ে এক প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০ মণ খেজুর জব্দ করেন আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
তিনি বলেন, অভিযানে এক হাজার মণ আম ধ্বংস ও ৪০ মণ খেজুর জব্দ করা হয়েছে। অধিকাংশ আমই অপরিপক্ক। কিন্তু এসব আম ক্যালসিয়াম কারবাইড ও ইথানল দিয়ে পাকানো। কেমিক্যাল দেয়ায় আমের উপরের অংশ পাকা দেখা যায়। অথচ ভেতরে কাঁচা।
Advertisement
তিনি বলেন, এসব আম খেলে ডাইরিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘ মেয়াদী অসুখের সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিযানে দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে আশা বাণিজ্যালয়ের লুৎফর রহমান ও জাকির হোসেনকে এক বছর, মোস্তফা এন্টারপ্রাইজের মোস্তফা শেখকে ছয় মাস, সাতক্ষীরা বাণিজ্যালয়ের মো. ইয়াসিনকে ছয় মাস, এস আলম বাণিজ্যালয়ের মিঠুন সাহাকে দুই মাস, আতিউর ট্রেডার্সের রঞ্জিত রাজবংশীকে তিন মাস, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের মো. শাহিদুল এবং নামহীন দুটি প্রতিষ্ঠানের মেহেদী হাসান ও রেজাউল নামে দুই জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।
অভিযানে অংশ নেন র্যাব ১০ এর অতিরিক্ত এসপি মহিউদ্দিন ফারুক ও বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার ইঞ্জিনিয়ার মো. শহীদুল ইসলাম ও মো. খাইরুল ইসলাম।
এসআই/জেইউ/এএইচ/পিআর
Advertisement