খেজুরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, উপকারি তেল, ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার এবং আরও নানাবিধ খনিজ। রয়েছে উপকারি ভিটামিনও। তাই তো প্রতিদিন সকালে ৩-৪টি খেজুর খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
Advertisement
বিশেষত যারা কনস্টিপেশন বা কোনো ধরনের পেটের রোগে ভুগছেন তাদের জন্য় তো এই ফলটি মহৌষধির সমান! তবে এখানেই শেষ হয়ে যায় খজুরের গুণ, এমনটা ভাবলে কিন্তু ভুল করবেন। কারণ নিয়মিত এই ফলটি খেলে মেলে আরও অনেক উপকার।
আরও পড়ুন: রোজায় সুস্থতার জন্য কিছু জরুরি টিপস
১. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়: খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়মিত এই ফলটির পাতা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের ভেতর এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো! সেইসঙ্গে নাইট ব্লাইন্ডনেসসহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না।
Advertisement
২. এনার্জির ঘাটতি দূর করে: এই ফলের ভেতর থাকা প্রাকৃতিক সুগার রক্তে মেশার পর এমন মাত্রায় খেলা দেখাতে শুরু করে যে শরীর একেবারে চনমনে হয়ে ওঠে, সেইসঙ্গে মানসিক ক্লান্তি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে যখনই ক্লান্ত লাগবে এক-দুটো খেজুর খেয়ে নেবেন।
৩. হার্টের ক্ষমতা বাড়ে: ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে "এল ডি এল" বা খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেইসঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরও সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।
আরও পড়ুন: হার্ট ভালো রাখতে ইলিশ মাছ খান
৪. পেটের রোগের প্রকোপ কমায়: প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এই ফল খেলে বাওয়েল মুভমেন্টে উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনো ধরনের পেটের রোগ আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৩টি করে খেজুর খেলে শরীরের ভেতর উপকারি ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম, কোলাইটিস এবং হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
Advertisement
৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ: খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, এই ফলে কিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজও রয়েছে, তাই নিয়মিত খেজুর খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে হ্রাস পায়।
এএ/এইচএন/আরআইপি