সাহিত্য

ইতালীতে বাংলাদেশি শশীর অন্যরকম কৃতিত্ব

ইতালীর তরিনো শহরে জমকালো আয়োজনে উদযাপিত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক বইমেলা। গত ১৪ মে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল আন্তর্জাতিক এ বইমেলা। ৩১ বছর যাবৎ তরিনো শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এ বইমেলা।

Advertisement

ইতালীয় ভাষায় যার নাম হচ্ছে salone internazionale del libro di Torino. Daniela Finocchi এর হাত ধরে ২০০৮ সাল থেকে অভিষেক ঘটে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের।এ বইমেলাটি উদযাপিত হয় বিভিন্ন দেশের প্রকাশনীর অংগ্রহণের মাধ্যমে। এবারের বইমেলায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ইতালী, আফ্রিকা, ইন্ডিয়া,আফগানিস্তান, মারোক্কো, চীন, পলোনিয়া, জার্মানি। এসবদেশসহ আরো অসংখ্য দেশের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আনন্দ মুখর হয়ে উঠেছিল বইমেলা। যদিও দেখা যায়নি বাংলাদেশী কোনও প্রকাশনী। প্রকাশনী না থাকলেও বইমেলায় পুরস্কৃত হয়েছেন ইতালী প্রবাসী বাংলাদেশী তাহমিনা ইয়াছমিন শশী।

আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০০৮ সাল থেকে শুরু করেছিল ভিন্ন দেশীয় ভাষাভাষীর লেখক এবং সাংবাদিকদের নিয়ে এক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের। মেধা থাকলে দমিয়ে রাখা যায় না তেমনি একজন তাহমিনা ইয়াসমিন শশী । তিনি cattolica sacro del cuore university থেকে গণমাধ্যম বিভাগে পড়াশোনা করছেন। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ২০১৭ সালে তিনি প্রথম বাংলাদেশী লেখক হিসেবে তিনি পুরস্কৃত হন আন্তর্জাতিক বইমেলা থেকে।

ইতালীর এক বিখ্যাত প্রকাশনী giuria edizione থেকে তার বই বের হয়েছে, যে বই পাওয়া যাচ্ছে ইতালীর বিভিন্ন পাঠাগারে এবং অনলাইনে। গত বছরের ন্যায় চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণের পর চূড়ান্ত ফলাফলে শশী হয়েছন বিজয়ী। ২০১৮ সালে তিনি প্রবাসে হাজারও কর্মব্যস্ততার মাঝে অংশগ্রহণ করেন এ প্রতিযোগিতায়। এ বছর ও তিনি সক্ষম হয়েছেন বিজয় ছিনিয়ে আনতে। এত প্রতিযোগীর মধ্যে সহজ ছিলনা বিভিন্ন দেশের লেখকদের মধ্যে বিজয়ী হওয়া। প্রথম বাংলাদেশী লেখক হিসেবে তিনি পুরষ্কৃত হয়েছেন শশী। হাজারো প্রতিযোগীকে টপকে বাংলাদেশকে করেছেন আলোকিত।

Advertisement

এ অর্জন শুধু শশীর নয় পুরো বাংলাদেশের! প্রবাসের মাটিতে এ যেন এক টুকরো বাংলাদেশ। শশী ইতালীতে ইমিগ্রেশন অফিস, ট্রাইব্যুনাল, পুলিশ স্টেশন, হাসপাতাল, এবং স্কুলে অনুবাদক হিসেবে কাজ করেন।

শশীর এ অর্জন হয়তো নতুন প্রজন্মকেও উৎসাহিত করবে অনলাইন থেকে বইমুখী হতে।

এইচআর/আরআইপি

Advertisement