নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গৃহবধূ রুমানা আক্তারকে (২৪) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে তার স্বামী রাজু আহমেদ।
Advertisement
মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেয় স্বামী রাজু আহমেদ।
বুধবার বিকেলে কোর্ট পুলিশের এসআই হানিফ মিয়া বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত রাজু আহমেদের দেয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। এরপর আদালত রাজু আহমেদকে জেলহাজতে পাঠান।
জবানবন্দিতে রাজু উল্লেখ করে, পরকীয়া সন্দেহে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। হত্যার আগের দিন রুমানা আক্তারের ভ্যানেটিব্যাগ তল্লাশি করে জন্মনিরোধক দেখতে পায় রাজু। এ নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে স্বামী-স্ত্রী।
Advertisement
একপর্যায়ে রুমানা তার বাবার বাড়ি চলে যায়। পরের দিন রাতে ফের স্বামীর বাড়িতে এলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবারও তর্ক হয়। একপর্যায়ে রুমানাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে রাজু।
এরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রুমানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, পরকীয়া সন্দেহে রাজু তার স্ত্রী রুমানাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়ে দোষ স্বীকার করেছে।
গত ১৩ মে সোমবার সকালে ফতুল্লার পশ্চিম দেলপাড়া এলাকার আহসান উল্লাহর ভাড়াটিয়া বাসায় রাজু আহমেদ তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
Advertisement
নিহত রুমানা আক্তার পশ্চিম দেলপাড়া এলাকার রবিউল মিয়ার মেয়ে এবং রাজু রাজধানী ঢাকার ধোলাইখাল এলাকার খালেক মিয়ার ছেলে। রাজু ধোলাইখাল এলাকায় মোটরপার্টসের ব্যবসা করেন। আট বছর আগে রুমানা ও রাজুর বিয়ে হয়। তাদের সাত বছর বয়সের একটি পুত্রসন্তান আছে।
এএম/জেআইএম