জাতীয়

গুলিবিদ্ধ নবজাতকের মা ঢাকায়

যুবলীগের দু`গ্রুপের সংর্ঘষে মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ নবজাতকের মা নাজমা খাতুন (৩০) মাগুরা থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে মাগুরা থেকে ঢাকায় নবজাতকের কাছে রওনা দেন নাজমা খাতুন। রাতে তিনি ঢাকা পৌঁছালে তাকে ঢামেকের গাইনি বিভাগের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ নম্বর ইউনিটের ৫ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়। তার তত্ত্বাধানে আছেন ঢামেকের সহযোগী অধ্যাপক নিলুফা ইয়াসমিন। নাজমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার সন্তান ভাল আছে শুনে আমিও ভাল আছি। এখন এই হাসপাতালে (ঢামেক) আমাকে নিয়ে আসায় আরো ভাল লাগছে’।  এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে নবজাতকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তার বাবা বাচ্চু মিয়া। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এক সপ্তাহ পর বাচ্চাকে দেখতে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।  বাচ্চু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘নবজাতককে গুলির ঘটনায় জড়িতরা গত শনিবার ও মঙ্গলবার ফোন করে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বলেছে, অন্যথায় আমার ছোট ভাই কামরুল ভূইয়াকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি হুমকি দেয় তারা। উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় এলাকায় যুবলীগের সমর্থক দু`গ্রুপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষ আজিবর ও আলীর নেতৃত্বে একটি গ্রুপের যুবলীগ কর্মী কামরুল ভূঁইয়ার বড় ভাইয়ের গর্ভবতী স্ত্রী নাজমা খাতুন ও চাচা মমিন ভূঁইয়াকে গুলি করে গুরুতর আহত করে।তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওইদিন রাতেই অস্ত্রপচারের মাধ্যমে মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ একটি কন্যা নবজাতকের জন্ম হয়। আহত মমিন ভূঁইয়া শুক্রবার রাতে মারা যান।নবজাতককে শনিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে বাচ্চাটি সেখান চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে।এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। মামলার বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে প্রধান আসামিদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত পুলিশ কর্মকর্তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।একে/আরআইপি

Advertisement