অর্থনীতি

ড্রিমলাইনার বিমানকে দেবে নতুন পরিচিতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের নাম- আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস। চলতি বছরের আগস্ট থেকে জ্বালানি সাশ্রয়ী অত্যাধুনিক এ চারটি ড্রিমলাইনার যুক্ত হবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে।

Advertisement

জাহাজগুলো যুক্ত হওয়ার পর নতুন রুট এবং ইউরোপসহ দূরপাল্লার বন্ধ হয়ে যাওয়া রুটগুলো চালু করার পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও (ভারপ্রাপ্ত) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল।

ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল বলেন, বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে আসছে এ বছরের আগস্টে এবং দ্বিতীয়টি আসবে নভেম্বরে। বাকি দুটি ড্রিমলাইনার আসবে ২০১৯ সালের নভেম্বরে। বিমান সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ৮ জুলাই প্রথম ড্রিমলাইনার সরবরাহ শুরু হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে চারটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ কিনতে বোয়িং কম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালে এই উড়োজাহাজ বিমানকে সরবরাহ করার কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা ও দিক নির্দেশনায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বোয়িং ২০১৯ সালের মধ্যেই চারটি ড্রিমলাইনার বিমান সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে।

এটি বিমানের সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা পালন করবে বলেও মনে করেন ফারহাত হাসান জামিল।

Advertisement

এ বিষয়ে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজগুলো আসলে বন্ধ হওয়া ঢাকা-রোম-ঢাকা রুট চালু ছাড়াও লন্ডন রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ম্যানচেস্টার, রোম, সিডনি, মন্ট্রিয়ল, দিল্লি, হংকং ও টোকিওসহ আরও বেশকিছু নতুন রুটে যাবে বিমান।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় সপ্তাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড্রিমলাইনারের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছে বিমান বাংলাদেশ।

বর্তমানে বিমান বহরে আছে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০। ভাড়ায় নেয়া দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, একটি এয়ারবাস এ৩৩০, দুটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ। ১৩টি উড়োজাহাজ দিয়ে ১৫টি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সাতটি আকাশপথে চলাচল করছে বিমান।

আরএম/এমবিআর/এমএস

Advertisement