তামাকজনিত রোগ ও মৃত্যু কমিয়ে আনতে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রচারের বিধান দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর রায়েরবাজারে কৈর্বত্য সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তারা এই দাবি জানান।ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট ও প্রটেক্ট টু জার্নালিস্ট আয়োজিত ‘তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর বিধান বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রটেক্ট টু জার্নালিস্ট-এর নির্বাহী পরিচালক নিখিল ভদ্র। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমানের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট-এর মিডিয়া অ্যাডভোকেসি অফিসার সৈয়দ সাইফুল আলম। সভায় বক্তারা বলেন, সরকার তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রণীত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ১০ ধারা অনুযায়ী, সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে বিধানটি কার্যকর করার কথা রয়েছে। তামাকের ক্ষতি বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও ব্যবহার কমাতে এই ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সর্বাধিক কার্যকরপন্থা। পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশ ইতিমধ্যেই ছবিসহ সতর্কবাণী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। তাই এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হতে হবে।সভায় দেবরা ইফরইমসন বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো মৃত্যুর ফেরিওয়ালা। বিশ্বে ৪ হাজারেরও বেশি গবেষণায় তামাকের কারণে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতির নানা ক্ষতিকারক দিক প্রমাণিত হয়েছে। ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদানে তামাকজাত দ্রব্য ত্যাগের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে এ ধরনের সর্তকবাণী প্রচারের ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানিগুলো নানা প্রকার কূটকৌশল অবলম্বন করতে পারে। তাই জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতি রক্ষায় বিধানটি কার্যকর করতে রাষ্ট্রকে কঠোর হতে হবে। সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, একটি ছবি হাজার শব্দের চেয়ে শক্তিশালী। তামাকের ক্ষতি বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যবহার হ্রাস এবং তামাকজনিত রোগ ও মৃত্যু কমাতে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রচার জরুরি। বিগত দিনে কোম্পানীগুলো সর্তকবাণী প্রচারে নানা চতুরতার আশ্রয় নিয়েছে। তাই কোম্পানীগুলো যাতে কোনভাবেই বিভ্রান্ত করতে না পারে সে বিষয়ে গণমাধ্যম ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের সর্তক থাকতে হবে। সভায় বক্তৃতা করেন হেলথ ব্রিজ-এর আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন, দি ইউনিয়ন-এর কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, প্রটেক্ট টু জার্নালিস্ট-এর পরিচালক কাজী সোহাগ ও শওকত আলী খান। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন তাবিনাজ-এর স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষক রোকেয়া বেগম, নাটাব-এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর একেএম খলিউল্লাহ, একলাবের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. মাকসুদ উল্লাহ, টিসিআরসি-এর কর্মকর্তা মহিউদ্দিন এবং গণমাধ্যমকর্মী মিজান রহমান, সাকিলা পারভীন, রাজু হামিদ, গাজী শাহনেওয়াজ, আফরোজা নাজনীন, এজাজুল হক মুকুল, মাহবুব মাসুম, জাহাঙ্গীর কিরন ও শাহজাহান মোল্লা।এইচএস/এসএইচএস/এমআরআই
Advertisement