আইন-আদালত

বুধবারের কার্যতালিকার শীর্ষে খালেদার জামিনের রায়

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিলের রায় ঘোষণা হবে আগামীকাল বুধবার।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বুধবারের জন্য আপিল বিভাগের প্রকাশিত কার্যতালিকায় আপিলগুলো রায়ের জন্য তালিকার প্রথম ক্রমিকে (শীর্ষে) রাখা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

গত ৮ ও ৯ মে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। সকালে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরের শুনানি শেষে আগামীকাল বুধবার রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন আদালত।

Advertisement

এর আগে রাষ্ট্র, দুদক ও আসামি সব পক্ষের শুনানি শেষে গত ৮ ও ৯ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ রায়ের ঘোষণার জন্য ১৫ মে দিন নির্ধারণ করেন। এ দিন পুনরায় শুনানি শেষে তা পিছিয়ে আবার ১৬ মে পরবর্তী দিন ঠিক করেন আদালত।

দ্রুত আপিল নিষ্পত্তি এবং খালেদার জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তবে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখার আর্জি জানিয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন।

৮ মে সকালে খালেদার জামিন প্রশ্নে প্রথমে শুনানি করেন দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান। পরে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও শুনানি করেন। এরপর খালেদার পক্ষে এ জে মোহাম্মদ আলী শুনানি শুরু করলেও অসমাপ্ত থেকে যায়। সেখান থেকেই ৯ মে সকালে শুনানি শুরু করেন তিনি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়।

Advertisement

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন। ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/জেএইচ/এমএস