গত পাঁচ বছরে সুন্দরবনের বাঘ, হরিণসহ বন্যপ্রাণী ও বনজ সম্পদ রক্ষায় জলদস্যু, বনদস্যু ও অপহরণকারীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে ৭১ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক।তিনি জানান, এসব কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ২২৩ জন। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ৩৯১টি ও ৫২০১ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৮৭টি। ইউএসএইড বেঙ্গল টাইগার কনজারভেশন একটিভিটি (বাঘ) এর একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সদর দফতরে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব তথ্য জানান এ কে এম শহীদুল হক। আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ) সুন্দরবনের বাঘ, বন্যপ্রাণী এবং বনজ সম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আইজিপি বলেন, অপহরণ, খুন এবং বন্য প্রাণী হত্যার সঙ্গে জড়িত মোক্তারুল বাহিনীর প্রধান মারা গেছে বন্দুকযুদ্ধে। রাজু বাহিনী, কাশেম বাহিনীর বেশ কিছু সদস্য মারা গেছে এবং গ্রেফতার হয়েছে। খুলনা জেলার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা থানা এলাকার দুর্গম দুবলার চর, হিরণপয়েন্ট, কালিয়ার চর প্রভৃতি এলাকায় জলদস্যু ও বনদস্যুর তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। পুলিশ এ বিষয়ে সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। দুর্গম ও শ্বাপদসংকুল এ বনাঞ্চলে অপরাধ দমনে স্বল্প সংখ্যক জনবল এবং সীমিত জলযান নিয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আইজিপি বলেন, সুন্দরবনকে ঘিরে আছে খুলনা, বাগেরহাট এবং সাতক্ষীরা জেলা। এতো বড় এলাকায় বাঘ রক্ষা পুলিশের একার পক্ষে অত্যন্ত দূরহ। এজন্য প্রয়োজন সকল সংস্থা, স্থানীয় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও জনসচেতনতা। আগত প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন, টাইগার প্রোগাম ডিরেক্টর জো স্মিথ, এনফোর্সমেন্ট স্পেশালিস্ট ক্রেইগ এন্ডু ফুলস্টোন, চিফ অফ পার্টি প্রকাশ কান্ত সিলোয়াল এবং পেট্রোলিং স্পেশাললিস্ট ক্যাপ্টেন (অব.) রুদ্র কাওছার। বাঘসহ অন্যান্য বন্য প্রাণী এবং বনজ সম্পদ রক্ষায় তাদের কর্মসূচি সম্পর্কে পুলিশ প্রধানকে অবহিত করেন প্রতিনিধিদল। এ সময়, সুন্দরবনের সকল অঞ্চল বিশেষ করে সাতক্ষীরা রেঞ্জ এবং সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টে টহল জোরদার করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইজিপিকে অনুরোধ জানান।জেইউ/এসকেডি/এমআরআই
Advertisement