প্রথম ইনিংসের সঙ্গে কোনোভাবেই মিলানো যাবে না দ্বিতীয় ইনিংসকে। প্রথম ইনিংসে পুরো দল অলআউট হয়েছিল ১৩০ রানে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে কেভিন ও’ব্রায়েন একাই করলেণ ১১৮ রান। শুধু করা নয়, এখনও অপরাজিত তিনি। তার গৌরবময় এই সেঞ্চুরির সুবাধে পাকিস্তানের সামনে লিড নিয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত আয়ারল্যান্ড। চতুর্থ দিন শেষে আয়ারল্যান্ডের লিড ১৩৯ রানের। এখনও হাতে রয়েছে ৩টি উইকেট।
Advertisement
দেশের অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করে ঐতিহাসিক এই ম্যাচকে আরও গৌরোজ্জ্বল করে তুললেন কেভিন জোসেফ ও’ব্রায়েন। সোমবার মালাহাইডের পড়ন্ত বিকেলে আইরিশ অল-রাউন্ডারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটকে আরও সমৃদ্ধ করল, সন্দেহ নেই।
ও’ব্রায়েনের দুরন্ত শতরানে ফলো-অন করেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফিরল আয়ারল্যান্ড। সোমবার চতুর্থ দিনের শেষে দ্বিতীয় দিনের শেষ ৭ উইকেটে ৩১৪ রান তুলেছে আয়ারল্যান্ড। ১১৮ রানে ক্রিজে রয়েছেন ও’ব্রায়েন এবং ৮ রানে টাইরন কেন। এর আগে বাঁ-হাতি পাক পেসার মহম্মদ আমেরের বলে দু’রান নিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ও’ব্রায়েন। ১৮৬ বলে ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। দেশের হয়ে প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন ৩৪ বছরের আইরিশ অল-রাউন্ডার।
২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। টেস্ট ক্রিকেটের দশম দেশ হিসেবে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ঘটেছিল বাংলাদেশের। সেই টেস্টেরই প্রথম ইনিংসে বুলবুল খেলেছিলেন ১৪৫ রানের অনবদ্য ইনিংস। কেভিন ও’ব্রায়েনও সেই গৌরবময় ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখে নিলেন।
Advertisement
এ নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজেদের দেশের অভিষেক টেস্টে চার সৌভাগ্যবান সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেছেন। তাদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম বুলবুল আর কেভিন ও’ব্রায়েনের নিজ দেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করার গৌরবে নাম লেখা হলো। বাকি দু’জন হলেন অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারম্যান এবং জিম্বাবুয়ের ডেভিড হটন।
১৮৭৭ সালে মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম অফিসিয়াল টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি চার্লস ব্যানারম্যান। ১৯৯২ সালে ভারতের বিপক্ষে নিজের দেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন জিম্বাবুয়ের ডেভ হটন।
আইএইচএস/পিআর
Advertisement