কর্নাটক বিধানসভা ভোটের গণনায় নাটকীয়তায় মোড় নিয়েছে। এই মুহূর্তে গণনার ফলাফল অনুযায়ী কংগ্রেসকে ডুবিয়ে এগিয়ে আছে বিজেপি। শুরুর দিকে কংগ্রেসের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে দু’নম্বরে থাকলেও পরে কংগ্রেসকে ছাড়িয়ে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি।
Advertisement
গতবারের চেয়ে এবার কংগ্রেসের অবস্থা কিছুটা খারাপ। তবে জেডি(এস) গতবারের ফলাফলের আশেপাশেই রয়েছে।
বাদামি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারাম্মাইয়া। শিকারিপুর কেন্দ্র থেকে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপির মুখ ইয়েদুরাপ্পা। গত ১২ মে ২২৪টি আসনের মধ্যে ২২২টি আসনে লড়াই হয়। সরকার গঠনের জন্য আপাতত ১১২টি আসন দরকার। বিজেপি এই মুহূর্তে একশোর বেশি আসনে এগিয়ে।
নির্বাচনে জয়ী হবে এমন আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই শিবিরের মধ্যেই লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি বুথফেরত সমীক্ষায় দেখা গেছে কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারে-কাছে নেই। সমীক্ষা বলছে, যে ২২২ টি আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ৯৭ টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৯০ টি আসন। দেবগৌড়ার দল জেডি( এস)-এর প্রাপ্ত আসন হতে পারে ৩১।
Advertisement
ফলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ত্রিশঙ্কুর দিকেই। যদি সেই পথেই নির্বাচনের ফলাফল এগেয়ে যায় তাহলে কাকে সমর্থন করবে জেডি(এস)? কংগ্রেস নাকি বিজেপিকে? ভোটের প্রচারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া কংগ্রেস এবং বিজেপির থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখেছিলেন।
জানিয়ে দিয়েছিলেন, দু’দল সম্পর্কেই জেডি(এস) হতাশ। তাই কাউকে সমর্থন করার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু ভোট মিটতে না মিটতেই যে কংগ্রেস সম্পর্কে জেডি(এস) অনেক নরম তা জেডি(এস) মুখপাত্র দানিশ আলির কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে যাই ইঙ্গিত দিক না কেন জেডি(এস), তাদের হাতেই যে কর্নাটকের অনেকাংশেই ঝুলে আছে সে কথা মানছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও।
জয়নগর আসনে বিজেপি প্রার্থী ও বিধায়ক বি এন বিজয়কুমারের আকস্মিক মৃত্যু এবং রাজরাজেশ্বরী নগরে একটি ফ্ল্যাট থেকে ১০ হাজার ভুয়া ভোটার কার্ড বাজেয়াপ্ত হওয়ায় সেখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী ২৮ মে ওই দু’টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। সেখানে ফল প্রকাশ হবে ৩১ মে।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement