দেশজুড়ে

২০০৫ সালেও কেএসআরএমের যাকাত নিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮ জন

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের ইফতার সামগ্রী সংগ্রহ করার সময় ‘পদদলিত’ হয়ে সোমবার ১০ নারী ও শিশু নিহতসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। একই কারণে ২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর ওই এলাকায় প্রাণ হারান ৮ জন। সে সময়ও প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছিলেন।

Advertisement

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘রমজান হলো সংযমের মাস, কিন্তু দাতা-গ্রহীতা সবাই এখানে অসংযমের পরিচয় দিয়েছে। এর আগেও ২০০৫ সালে একই জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার হয়নি। আবুল খায়েরের ইফতার নিতে গিয়েও অনেক মানুষ মরেছে। সেটা ছিল চট্টগ্রামের প্রথম ঘটনা।’

২০০৫ সালে যারা নিহত হয়েছিলেন তাদেরও বেশিরভাগ নারী ছিলেন। ২০০৫ সালে নিহতরা হলেন- সাতকানিয়ার দক্ষিণ ঢেমশা এলাকার বাসিন্দা সায়েরা খাতুন (২৯), ফরিদা ইয়াছমিন (১৩), একই উপজেলার মিঠাদীঘি এলাকার বাসিন্দা কোহিনুর (১৫), ইয়াছমিন (১৩) ও পুর্বঘটি এলাকার আয়েশা (৫০)। এছাড়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরম্নল আলম (৪৫), জয়নব বেগম (৫০) ও জালাল উদ্দিনের স্ত্রী নিহত হন।

স্থানীয়রা জানান, ২০০৫ সালের ঘটনার পর থেকে এলাকার যাকাত সামগ্রীর বিতরণে আগে নামের তালিকা করে কার্ড করে দিত কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ। পরে সেই কার্ডের মালিকরা নিজে এসে কার্ড দেখিয়ে যাকাত ও ইফতার সামগ্রী নিয়ে যেত। কিন্তু গতকাল (সোমবার) সবাইকে একসঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সোমবারের (১৪ মে) ঘটনার কারণ অনুসন্ধান জানা যায়, ইফতার সামগ্রী সংগ্রহ করার সময় সকাল ১০টার দিকে অস্থায়ী গেটের কাছে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়। একজন আরেকজনকে পেছনে ধাক্কা দিয়ে ইফতার সামগ্রী সংগ্রহ করার চেষ্টা করে। এর এক পর্যায়ে অস্থায়ীভাবে নির্মিত গেটটি ভেঙে যায় এবং ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে সামনে যারা ছিল তারা পদদলনের শিকার হন।

তবে পুলিশ বলছে, অতিরিক্ত ভিড়ে হিটস্ট্রোকে তারা মারা গেছেন। সাতকানিয়া সার্কেলের এসপি জাসানুজ্জামান মোল্লা রোববার জাগো নিউজকে বলেন, ‘নিহতদের সবাই নারী। অতিরিক্ত ভিড়ে হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের (২০১৭) ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যুি হয়। এছাড়া আহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ।

মহিউদ্দিনের কুলখানির জন্য ১২টি কমিউনিটি সেন্টারে ৮০ হাজার মানুষের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে একটি কনভেনশন সেন্টারে ওই পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

Advertisement

আরএস/জেআইএম