আসন্ন রমজান মাসে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও যানজট নিরসনে কোনো সেবাদানকারী সংস্থাকে নতুন করে রাস্তা না খোঁড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
Advertisement
সোমবার ডিএমপি সদরদফতরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সমন্বয় সভায় তিনি একথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নতুন করে কোনো রাস্তা না খুঁড়তে ও পুরাতন খোঁড়া রাস্তা দ্রুত মেরামত করার অনুরোধ করছি।
কমিশনার বলেন, পবিত্র রমজানে জনসাধারণ যাতে নিরাপদে ইফতারের আগে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে লক্ষ্যে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং, শপিংমলের সামনে বা আশপাশে যানবাহন পার্কিং বন্ধ রাখা, ফুটপাত হকারমুক্ত রাখা, ফুটপাতে গাড়ি পার্কিং না করা এবং মোটরসাইকেল চলতে না পারে সে ব্যবস্থা করা, ইন্টারসেকশনের সামনে কোনো গাড়ি যেন জটলা না করে সে দিকে লক্ষ্য রাখা, রিকশা-ভ্যান-ঠেলাগাড়ি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় উঠতে না দেয়া, পিক আওয়ারে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসার রাস্তায় থেকে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
Advertisement
যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঈদের আগে প্রতিটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার আহ্বান জানান কমিশনার।
সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মহানগরীর সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট ও রেল স্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বাস মালিক সমিতির নেতাদের সাথে সমন্বয় করে ড্রাইভারের লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করে গাড়ি টার্মিনাল থেকে বাইরে বের করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাতে অবশ্যই বাসের সকল যাত্রীকে ভিডিওচিত্র ধারণ করে বাস টার্মিনাল হতে বের করতে হবে। লক্কর-ঝক্কর গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবে না। বাস মালিক সমিতি ও পুলিশের সমন্বয়ে টিকিট কালোবাজারিদের প্রতিরোধ করতে হবে। টার্মিনালের প্রবেশ ও বাহির পথ যানজটমুক্ত রাখতে হবে। টার্মিনালকেন্দ্রিক পর্যাপ্ত সংখ্যক কমিউনিটি পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কি করতে হবে। যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী না ওঠানোর জন্য বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধিদেরকে বলেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান ও মলম পার্টি প্রতিরোধে রমজান ও ঈদে মোতায়েন থাকবে সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশের বিশেষ টিম। বিভিন্ন মার্কেট শপিং মলে পুলিশ নিরাপত্তা দেবে। পাশাপাশি মার্কেটের নিরাপত্তার জন্য মার্কেট মালিক সমিতিকে সিসিটিভি, আর্চওয়ে, নিজস্ব সিকিউরিটি, এক্সেস কন্ট্রোল মেশিনসহ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রমজানে ভেজাল খাবার প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Advertisement
এছাড়াও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ফুটপাত ও বাড়ির সামনের রাস্তা দখল করে নির্মাণসামগ্রী যারা ফেলে রেখে চলাচলে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেন কমিশনার।
এআর/বিএ