দেশজুড়ে

মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হাকিম রাজসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

Advertisement

সোমবার দুপুরে কমলগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে থানায় আনা হয়েছে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মোকতাদির হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে কমলগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি করতে থাকে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর নিরাপত্তার অভাবে শিক্ষকরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করলে বিকেলে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

Advertisement

সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রুপের রাফি, সাইফুর রহমান টিপু, সোহাগ, নয়ন তানভীর, সামাদ, জয় ও সাফি আহত হয়। আর সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের সাব্বির হোসেন মুন্না, নাইম, নাহিদ, কামরুল ও রফি আহত হন। আহতরা কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এছাড়া গুরুতর আহত কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হাকিম রাজ ও ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেন মুন্নাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কমলগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। গভর্নিং বডির সভায় আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে পুলিশকে অবগত করা হলেও তারা আসতে দেরি করে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে বিষয়টি বড় হতো না।

ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল বলেন, সাধারণ সম্পাদক সাকের আলী সজিব ও জাকির হোসেন পান্না পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক কলেজের পরিবেশ অশান্ত করার জন্য হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

Advertisement

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাকের আলী সজিব বলেন, ১৩ মে কলেজে ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়। ১৪ মে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল ছাত্রদলের সদস্যদের শেল্টার দিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

কমলগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. মোকতাদির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কাউকে আটক করা হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রিপন দে/এএম/এমএস