জাতীয়

প্রতারণার অভিযোগে বিমানকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা না দেয়া, নিরাপত্তা বিপন্নকারী পরিস্থিতি সৃষ্টি করা ও যাত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সোমবার অধিদফতরে জরিমানার আড়াই লাখ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করে বিমান কর্তৃপক্ষ। অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেবব্রত সরকার নামে এক বিমানযাত্রী গত বছরের ২০ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর মতিঝিল অফিস থেকে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা ৭টি রিটার্ন টিকিট কিনেন। এর মধ্যে একটি টিকিট ছিল শিশুর। ১১ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৯৬ ফ্লাইটটির ধারণ ক্ষমতা ছিল ৭৪ জনের। কিন্তু সেখানে বিমান বুকিং দিয়েছিল ৭৬ জনকে। ফলে কলকাতা থেকে ঢাকা আসার সময় ৭ জনকে টিকিট দিতে পারেনি বিমান। ওই যাত্রীদের পাঁচজনকে টিকিট দেয়া হয়। আর শিশুটিকে কোলে নিয়ে আসতে বলে কর্তৃপক্ষ। বাকি একজনকে পরেরদিন আসতে বলা হয়। এছাড়া শিশুটির টিকিট মূল্য ফেরতও দেয়া হয়নি। আর যে যাত্রী আসতে পারেননি তাকে নিজ খরচে বিমানবন্দরে থাকতে হয়েছে।

বিমান কর্তৃপক্ষ বলেন, যাত্রীরা বিমানবন্দরে দেরিতে উপস্থিত হয়েছেন তাই কলকাতা থেকে ঢাকা আসার সময় ওই যাত্রীদের পাঁচজনকে টিকিট দেয়া হয়েছে।

 

তবে অধিদফতর বলছে, দেরিতে আসলে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেবে এ বিষয়ে বিমানের সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা নেই। যাত্রী দেরিতে আসলে তার কেনা টিকিট অন্যযাত্রীর কাছে বিক্রি করবে বিমানের এমন বিষয়টি স্পষ্ট নয়। সেইসঙ্গে সিট ছাড়া শিশুর ভ্রমণের অনুমতি দিয়ে তার নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করেছে।

Advertisement

অভিযোগকারী তার অভিযোগে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর অবহেলার কারণে তিনি প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সেবা পাননি এবং তার সন্তানের নিরাপত্তা বিপন্নকারী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

অধিদফতরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে, বিমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ও ৫২ ধারা অনুযায়ী মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগ নিষ্পত্তি করেন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার।

অভিযোগকারী এ জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা পাবেন বলে জানিয়েছে অধিদফতর।

এসআই/এসএইচএস/পিআর

Advertisement