জাতীয়

স্বাধীনতার ভিত্তি ছিল সাংবিধানিক ঘোষণাপত্র

বিশিষ্ট আইনবিদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম বলেছেন, সশ্রস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এর ভিত্তি ছিল স্বাধীনতার সাংবিধানিক ঘোষণাপত্র।বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ বিষয়ে কলেজ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার ৩য় দিনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, দীর্ঘ নয় মাসের সশ্রস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও, এর ভিত্তি ছিল ১৯৭০ এর নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা গৃহীত স্বাধীনতার সাংবিধানিক ঘোষণাপত্র।মুুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে রিসোর্স পার্সন হিসেবে এ কর্মশালায় আরো বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ।অনুষ্ঠানে কোর্স উপদেষ্টা হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।ড. এম এম আকাশ তাঁর আলোচনায় বলেন, পাকিস্তান এক উদ্ভট ভৌগোলিক এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সকল উপাদান শুরুতেই এর মধ্যে বিদ্যমান ছিল বলেই আমার মনে হয়, জন্মই যেন ছিল এ রাষ্ট্রের আজন্ম পাপ।তিনি বলেন, পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর শাসন-শোষণ ও জাতিগত নিপীড়ন স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে করেছে আরো ত্বরান্বিত। সার্বিক বিবেচনায় ২৪ বছর রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের টিকে থাকাই ছিল বিস্ময়কর।এসকেডি/এমআরআই

Advertisement