ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডার বয় গ্যাব্রিয়েল জেসুসের করা ৯৪তম মিনিটের গোলে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম শেষ করল ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথমবারেরমত কোন দল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শিরোপা জয় করলো। শিরোপা তো আগেই নিশ্চিত ছিল, সিটির সামনে হাতছানি ছিল প্রথম দল হিসেবে ১০০ পয়েণ্ট অর্জনের। লিগের শেষ ম্যাচে এসে সেই উচ্চতায়ও পৌঁছে গেলো প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নরা। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত পেপ গার্দিওলা ।
Advertisement
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সেই উচ্ছাসই প্রকাশ করলেন তিনি। বললেন, ‘ওয়ান হান্ড্রেড পয়েন্ট! আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। ১০০ পয়েণ্ট! এটা সত্যিই বিশাল এক অর্জন।’
জিজ্ঞাসা করা হলো, তারা কী এর চেয়ে আরও ভালো করতে পারতো? জবাবে গার্দিওলা বলেন, ‘আপনি যথন নাম্বার বিশ্লেষণ করবেন, তাহলে বলবো, আমরা কী সত্যিই এই সংখ্যাটায় আরও উন্নতি করতে পারতাম? না। এখানে আপনার সঙ্গে আমি একমত। আমরা এই সংখ্যার চেয়ে আর বেশি হয়তো ভালো করতে পারতাম না।’
তবে, ফুটবলে তো অনেক কিছুই সম্ভব। এ কারণে এ রেকর্ড ভাঙা কিংবা এর চেয়ে ভালো খেলার সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে গার্দিওলার মুখে। তিনি বলেন, ‘ফুটবল নিয়ে যদি বলেন, তাহলে বলবো, হ্যাঁ। কারণ, খেলোয়াড়রা অবশ্যই এর চেয়ে আরও ভালো করতে পারে। এমনকি ম্যানেজারও আরও ভালো করতে পারে। একটি গ্রুপ এবং একটি দল হিসেবে আমরা আরও ভালো করতে পারি।’
Advertisement
লিগ শেষ হওয়ার ৪ সপ্তাহ আগেই শিরোপা নিশ্চিত করার পরও সিটি তাদের নিজেদের মতই খেলেছে ১০০ পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করার জন্য । ম্যাচ জয়ী গোলের পরে গার্দিওলা নিজেই বেঞ্চের খেলোয়াড়দের নিয়ে টাচলাইনে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। ম্যাচ জয়ী গোলদাতা জেসুস আর গোলে সহায়তাকারী কেভিন ডি ব্রুইনেরও ভূয়সী প্রসংশা করে সিটি বস।
‘ম্যাচটা সত্যি অনেক কঠিন ছিল। সাথে প্রতিপক্ষ দলের রোমেউ, হোজবার্গসহ ডিফেন্স লাইনের ৪-৫ জন দারুণ খেলছিল। আমরা এতটা প্রস্তুতি নিয়ে মূলতঃ নামিনি। কেননা আগের সপ্তাহে আমরা খুব একটা ট্রেনিং করিনি; কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকেই আমরা লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছিলাম। বল পায়ে মাঠে আমরা সেরাটাই দিয়েছি। যদি এভাবে প্রতি ম্যাচ খেলে না যেতাম, তাহলে এত এত গোল, পয়েণ্ট কিছুই অর্জন করতে পারতাম না।’
তবুও সব অর্জন বিস্ময়করই ঠেকছে গার্দিওলার কাছে। অকপটেই সেগুলো স্বীকার করে নিলেন। তিনি বলেন, ‘এত এত গোল, এত কম গোল খাওয়া, এত পয়েণ্ট অর্জন করা। ঘরে মাঠে ৫০ পয়েন্ট, অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোতেও ৫০ পয়েণ্ট অর্জন করা সত্যি অবিশ্বাস্য ছিল। সংখ্যায়ই প্রমাণ করে আমরা কতটা ভাল ছিলাম এই মৌসুমে। ১০০ পয়েণ্ট অর্জন করা সহজ ব্যাপার না। আপনি যদি পয়েণ্ট হারান, কখনোই ১০০ পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন না। সত্যি এটা অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা আর অর্জন ছিল; কিন্তু এটা শেষ! এখন বিশ্রামের সময়, বিশেষ করে যারা বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে অংশগ্রহণ করবে। গ্রীষ্মটা দারুণ কাটাক আমার খেলোয়াড়রা। এরপরের মৌসুমের জন্য আবার প্রস্তুতি নিতে যাবো।’
আইএইচএস/এমএস
Advertisement