উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে গাছের চাপায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ ডা. আয়েশা আক্তার বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।তিনি জানান, নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনের মো. ইসমাইল (৫০)। অপরজন হলেন পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার কলাগাছিয়া উপজেলার কল্যাণকলস গ্রামের নুরুল ইসলাম (৫২)। ভোলার লালমোহনে একজন নিহত হলেও তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, ঘূর্ণিঝড়ে গুরুতর আহত দুজনকে ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হলেও তাদের সঠিক নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ঘূর্নিঝড় ও বন্যা কবলিত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার,খুলনা, মংলা ও বাগেরহাট জেলায় মেডিকেল টিম ও আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে ৪১০টি মেডিকেল টিম ও ৩২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মেডিকেল টিম রয়েছে চট্টগ্রাম জেলায় ৩০২টি ও কক্সবাজারে ৭৪টি। ডা. আয়েশা জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে সেগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ছাড়াও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলে আক্রান্ত এলাকায় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এমইউ/এসকেডি/আরআইপি
Advertisement