খেলাধুলা

রোনালদোকে ছাড়াও রিয়ালের হাফডজন গোল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের জন্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে বিশ্রাম দেয়া হলো; কিন্তু রোনালদো না থাকলে কী হবে, রিয়াল মাদ্রিদের তো আর শক্তি খর্ব হওয়ার কথা নয়। রোনালদোর না থাকার অভাবটা পুরোপুরি পুষিয়ে দিলেন গ্যারেথ বেল।

Advertisement

সেভিয়ার কাছে আগের ম্যাচে ৩-২ গোলে হারের ধাক্কা সামলে আবার জয়ে ফিরে এলো রিয়াল। শুধু ফিরে আসানাই নয়, লা লিগার ৩৭তম রাউন্ডের ম্যাচে নিজেদের মাঠে সেল্টা ভিগোকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের প্রস্তুতি সেরে রাখল লজ ব্লাঙ্কোজরা।

এল ক্ল্যাসিসোর দ্বিতীয়ার্ধে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল রোনালদোকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের আগে এ কারণে তাকে খেলানোর ঝুঁকি নেননি কোচ জিদান। যে কারণে, আগের ম্যাচেই রিয়াল মাদ্রিদকে হারতে হয়েছিল। তবে পরের ম্যাচেই স্বরূপে ফিরে এলো তারা। এই ম্যাচে জিদান খেলাননি দানি কার্ভাহলকেও। একাদশে ফিরেছেন ইসকো। গোলও করেছেন তিনি। আগে ম্যাচে বিশ্রামে থাকা গ্যারেথ বেল সেল্টার বিপক্ষে ফিরে এসেই জোড়া গোল করেন।

মূলতঃ আগের ম্যাচে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে জিদান সেল্টা ভিগোর বিরুদ্ধে তার একাদশ আমূল বদলে ফেলেন। বেনজেমা, ক্যাসেমিরো ও নাচো ছাড়া সেভিয়া ম্যাচের আর কোনো ফুটবলারকেই এদিন শুরু থেকে মাঠে নামাননি রিয়াল কোচ। বাদ দেন আগের ম্যাচের খলনায়ক রামোসকেও। রোনালদো এবং কার্ভাহল যথারীতি মাঠের বাইরে। দলে ফেরান ওয়েলসম্যান বেল এবং অ্যাটাকিং মিডফিল্ডের নায়ক ইসকোকে। দুরন্ত গ্যারেথ বেলের গতি শুরুতেই ম্যাচের রাশ রিয়ালের হাতে এনে দেয়।

Advertisement

ম্যাচের শুরুটাই হয় টনি ক্রুসকে ফাউল করার মধ্য দিয়ে। দ্বিতীয় মিনিটেই তাকে ফাউল করে সেল্টা। এরপর ৬ষ্ট মিনিটে প্রথম আক্রমণ করে রিয়াল। নবম মিনিটে রিয়ালের আক্রমণ ফিরিয়ে দেয় সেল্টা। ম্যাচের ১৩তম মিনিটে গোলের সূচনাই করেন বেল। মদ্রিচের পাস থেকে গোলটি করেন তিনি।

ম্যাচের ২৭ মিনিটে বেল দুর্দান্ত একটি ফ্রি কিক নেন; কিন্তু গোল হয়নি তাতে। ৩০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। ইসকোর পাস থেকে নিজের এবং দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি এবং একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলার আবেদন জোরালো করে রাখলেন ওয়েলসের এই তারকা। বেলের গোলের ২ মিনিট পর, খেলার ৩২তম মিনিটে গোল করেন ইসকো। টনি ক্রুসের ক্রস থেকে সেল্টা ভিগোর জালে দলের হয়ে তৃতীয়বার বল জড়ান তিনি।

৩-০ গোলের ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল এবং সেল্টা ভিগো। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৭ মিনিট পরই (খেলার ৫২ মিনিটে) মরক্কান ফুটবলার আশরাফ হাকিমি ব্যবধান করে দেন ৪-০। করিম বেনজেমার পাস থেকে বল পেয়ে গোলটি করেন হাকিমি।

গোল হজম করতে করতে যখন দিশেহারা অবস্থা সেল্টা ভিগোর, তখন নিজেরাই নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দিল তারা। রিয়ালের পঞ্চম গোলটি এলো আত্মঘাতি থেকে। সেল্টা ভিগোর সার্জি গোমেজ গোলটি করেন। ৮১ মিনিটে রিয়ালের হয়ে সেল্টার পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন টনি ক্রুস।

Advertisement

পুরো ম্যাচে রিয়াল গোলে শট নিয়েছে ১০টি। বিপরীতে সেল্টার শট মাত্র একটি। তবে বলের দখলে সেল্টা রিয়ালের সঙ্গে বেশ লড়াই করে গেছে সেল্টা ভিগো। রিয়ালের ৫৭ ভাগ বল দখলের বিপরীতে তারা ৪৩ ভাগ বল পায়ে রেখেছিল।

৩৭তম ম্যাচে এসে এই জয় রিয়ালকে অন্তত লিগ রানারআপ হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দুটি শর্ত অবশ্যই পূরণ হতে হবে। শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ভিয়ারয়ালের বিপক্ষে জিততে হবে রিয়ালকে। অন্যদিকে, অ্যাটলেটিকোকে নিজেদের মাঠে হারতে হবে এইবারের কাছে। তাহলেই কেবল গোলগড়ে দ্বিতীয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রিয়ালের। ৩৭ রাউন্ড শেষে রিয়ালের পয়েন্ট ৭৫। সমান সংখ্যক ম্যাচে অ্যাটলেটিকোর পয়েণ্ট ৭৮।

আইএইচএস/এমএস