মাগুরায় যুবলীগের দু`গ্রুপের সংর্ঘষে মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ নবজাতকের মা নাজমা খাতুনকে (৩০) মাগুরা থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় তার নবজাতকের কাছে পাঠানো হয়েছে।মাগুরা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. সফিউর রহমান বলেন, `আহত নবজাতকের অবস্থা কিছুটা উন্নতি ঘটেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। এ অবস্থায় তার সবচেয়ে বেশি দরকার মায়ের দুধের। এ কারণেই আমরা শিশুটির মা নাজমা খাতুনকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।`তিনি আরো বলেন, `এতে একই সঙ্গে গুলিবিদ্ধ মা উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবে। আবার তার সান্নিধ্যে থেকে নবজাতকটিও সুস্থ হয়ে উঠবে।`আহত নাজমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমার সন্তানের কাছে ঢাকায় যাচ্ছি এতে আমার খুব ভালো লাগছে। একজন মা হওয়ার যে কি যন্ত্রণা তা সবাই জানে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। নাজমা বেগমের স্বামী বাচ্চু ভূঁইয়া হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। তাই আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই। উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় এলাকায় যুবলীগের সমর্থক দু`গ্রুপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষ আজিবর ও আলীর নেতৃত্বে একটি গ্রুপের যুবলীগ কর্মী কামরুল ভূঁইয়ার বড় ভাইয়ের গর্ভবতী স্ত্রী নাজমা খাতুন ও চাচা মমিন ভূঁইয়াকে গুলি করে গুরুতর আহত করে।তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওইদিন রাতেই অস্ত্রপচারের মাধ্যমে মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ একটি কন্যা নবজাতকের জন্ম হয়। আহত মমিন ভূঁইয়া শুক্রবার রাতে মারা যান।নবজাতককে শনিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে বাচ্চাটি সেখান চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে।এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলার বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে প্রধান আসামিদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত পুলিশ কর্মকর্তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি।আরাফাত হোসেন/এআরএ/এমআরআই
Advertisement