দেশজুড়ে

সরকারি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে মেয়রের লোকজন

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার সুধারচর এলাকার ইছামতি নদীর পাড়ে চলছে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি কেটে নিয়ে যাওয়ার মহোৎসব।

Advertisement

মিরকাদিম পৌরসভার মেয়রের লোকজন এই মাটি কেটে বিক্রি করছে বলে স্থানীয় ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে। চলতি মাসের শুরু থেকে অন্তত আড়াইশ শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে ধর্মগঞ্জের জাজিরা ইটভাটায় এ মাটি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ বাধা দিতে পারছে না। ফলে পরিবেশ বিপর্যয় ও ফসলি জমি ধ্বংসের পাশাপাশি নদীপাড়ের বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিন ভোর রাত ৪টার দিকে ধর্মগঞ্জের জাজিরা এলাকার প্রায় ২ থেকে আড়াইশ শ্রমিক সুধারচর এলাকার সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি কাটা শুরু করে। লোক সমাগম হওয়ার আগেই সকাল ৮টার দিকে তারা ট্রলারে মাটি ভরে চলে যায়। ট্রলার প্রতি ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে মাটি লুটেরারা পায় ১২-১৫ হাজার টাকা। প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাটি বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

মেয়রের লোক হিসেবে পরিচিত চুন্নু, মনির, সুমন, সোহাগ, শাহজাহান, পাবেল, কামাল মৃধা, আল-আমিন, শামীম এই মাটি বিক্রি কাজের সঙ্গে জড়িত।

ইটভাটার শ্রমিক সর্দার কাইয়ুম বলেন, এই জমি সরকারি না ব্যক্তি মালিকানাধীন তা আমাদের জানা নেই। মেয়রের লোকজনের কাছ থেকে মাটি কিনে নিচ্ছি আমরা।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর অ্যাসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। অ্যাসিল্যান্ড সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ নিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনতাসির জাহান জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে, মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। স্থানীয়রা জানিয়েছে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে মীরকাদিম পৌরসভার মেয়রের লোকজন। যারা সরকারি স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটাবে তাদের ছাড় দেয়া হবে না।

Advertisement

মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, আমি এর সঙ্গে জড়িত নই। এটা আমার জন্য লজ্জা ও কষ্টের। আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এএম/জেআইএম