দেশজুড়ে

ভাঙা স্লুইস গেট থেকে জলাবদ্ধতার শঙ্কা

পটুয়াখালীতে স্লুইস গেট ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জীবনসহ স্থানীয় হাট-বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। স্লুইস গেট অকেজো থাকায় এবং প্রবাহমান খালের মুখে বাঁধ দিয়ে দখল করায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

জানা গেছে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নে অর্ধলাখ মানুষের বসবাস। এই এলাকার প্রধান বাণিজ্যিক বন্দর ধরান্দি বাজার। এই বাজারকে কেন্দ্র করে পুরো ইউনিয়নের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালিত হওয়ায় গত কয়েক দশকে এই এলাকা সমৃদ্ধি লাভ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি জেয়ারের পানিতে ধরান্দি বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত স্লুইস গেট ভেঙে এর পাশ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ধরান্দি বাজারের বাঁধসহ এর আশপাশের স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে। আসছে বর্ষা মৌসুমের আগে স্লুইস গেটটি সংস্কার কিংবা ওই স্থানে বাঁধ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ না নিলে এ অঞ্চলের কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের কৃষক আবেদ আলী, খলিল উদ্দিন, নুর মোহম্মাদ, মাহফুজুর বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগে স্লুইস গেটটি সংস্কার করা না হলে বৃষ্টির পানি নামতে পারবে না ফলে জমির ধান, পানবরজ, শবজি খেত ডুবে যাবে। এতে এলাকার কয়েক কোটি টাকার ফসলহানি হবে।

এদিকে সম্প্রতি বাজার রক্ষা ও ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদশর্ন করেছেন।

Advertisement

জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে স্লুইস গেটের স্থলে বাঁধ নির্মাণ করে বিকল্প স্লুইস গেটগুলো সচল করা হবে। সে ক্ষেত্রে খালের মুখে অবৈধ বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে বাঁধ নির্মাণ করা হলেও সেখানে নতুন একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হবে।

জীবন ও সম্পদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত স্লুইস গেটের স্থলে বাঁধ নির্মাণ ও খালের মুখগুলোতে নির্মিত অবৈধ বাঁধ অপসারণের দাবি স্থানীয়দের।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/এমএস

Advertisement