অর্থনীতি

ব্রোকারেজ হাউসের প্রতারণা : প্রতিকার মিললো ভোক্তা অধিকারে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারী জাহিদ হাসান। কাজী একুইটিস লিমিটেডে শেয়ার লেনদেন করেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি কিছু না জানিয়ে তার সব শেয়ার বিক্রি করে দেয়। বারবার বলার পরও পাননি প্রতিকার। একপর্যায়ে ব্রোকারেজ হাউসের প্রতারণার এ বিষয়টি জানিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করেন। অধিদফতরের শুনানিতে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিনিয়োগকারীকে শেয়ার ফেরত দিতে বাধ্য হয় কাজী একুইটিস।

Advertisement

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে কাজী একুইটিস বিনিয়োগকারী জাহিদ হাসানকে না জানিয়েই তার পোর্টফোলিও থেকে ১০ হাজার টাকার শেয়ার বিক্রি করে দেয়। বর্তমান বাজার মূল্যে ওই শেয়ারে দাম ২৩ হাজার টাকা। বিনিয়োগকারী জাহিদ ভোক্তা অধিদফতের অভিযোগ করেন, ধারাবাহিক দরপতনে পুঁজি হারিয়ে দীর্ঘদিন শেয়ারের খোঁজ নেননি। এ সুযোগে তার অনুমতি না নিয়েই কাজী একুইটিস তার সব শেয়ার বিক্রি করে দেয়। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে কাজী একুইটিস কর্তৃপক্ষকে শুনানিতে ডাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। শুনানিতে প্রথমে কাজী একুইটিস’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বিনিয়োগকারী জাহিদ হোসেনের অনুমতি নিয়ে শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে।’

এরপর ভোক্তা অধিদফতরের পক্ষ থেকে বিনয়োগকারীর অনুমতির প্রমাণ হিসেবে লিখিত চিঠি অথবা ই-মেইল চাওয়া হয়। এ সময় বিনিয়োগকারীকে না জানিয়ে শেয়ার বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে কাজী একুইটিস’র প্রতিনিধি। এরই প্রেক্ষিতে জাহিদ হোসেনের শেয়ারের মূল্য বাবদ ২৩ হাজার টাকা পরিশোধ করতে কাজী একুইটিসকে নির্দেশ দেয় ভোক্তা অধিদফতর। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করা হয়। ভোক্তা অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজী একুইটিসের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জাহিদ হোসেনকে চেকের মাধ্যমে ২৩ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হয়।

অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জাগো নিউজকে জানান, ব্রোকারেজ হাউসে (কাজী একুইটিস লিমিটড) একজন বিনিয়োগকারী প্রতারিত হওয়ায় অভিযোগ করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে। ওই বিনিয়োগকারীর অভিযোগ ছিল তার অনুমতি না নিয়েই তার সব শেয়ার বিক্রি করা হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কাজী একুইটিসকে শুনানিতে ডাকা হয়। শুনানিকালে ব্রোকারেজ হাউসটি দোষ স্বীকার করে। এরপর ভোক্তা অধিদফতরের নির্দেশ মেনে ব্রোকারেজ হাউসটির পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীকে তার বিক্রিত শেয়ারের বর্তমান দাম হিসেবে ২৩ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হয়। মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার আরও বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমরা এটাই প্রথম পেয়েছি। প্রথমবার হওয়ায় ব্রোকারেজ হাউসটিকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Advertisement

এমএএস/এসআই/ওআর/পিআর