জাতীয়

আজকের ছাত্রনেতারাই আগামীদিনের কর্ণধার : প্রধানমন্ত্রী

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের ছাত্রনেতারাই আগামীদিনের কর্ণধার হবে। কারণ আমরা বয়োবৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। একদিন তোমাদেরই এই দেশ পরিচালনায় এগিয়ে আসতে হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, নিজের ভাগ্য বদল নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য বদলে কাজ করতে হবে। জাতির জনক এটাই চেয়েছিলেন। আমরা আজ জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চলেছি। সৎ, চরিত্রবান, ন্যায়, নিষ্ঠা ও আদর্শ নিয়ে চললে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তোমরা গড়তে পারবে। শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হাকির হোসাইন। ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমে জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও কারাগারের রোজনামচা' বই দুটি পড়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেক নেতাকর্মীর বই দুইটি পড়া উচিত এবং পড়ে সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। একটা আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করলে, দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে পারলে সেই সম্পদটা থাকে।

Advertisement

ছাত্রদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছাত্রলীগের যে নীতি, সেই নীতিটা কী? আমি আওয়ামী লীগ করি, আওয়ামী লীগের সভাপতি, তারপরেও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম, সেটা তো ভুলতে পারি না। সেখান থেকেই তো রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সেখান থেকেই শিখেছি শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি, ছাত্রলীগের মূলনীতি। শিক্ষার মশাল জালিয়ে শান্তির বাণী নিয়ে প্রগতির দিকে এগিয়ে যাওয়াই হলো ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদের জন্য কি করতে হবে তা আমরা জানি। কারণ আমরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে এসেছি। বর্তমান যুগোপযোগী সিলেসাবের ভিত্তিতেই লেখাপড়া হচ্ছে। আন্দোলনের নামে ছাত্ররা গাড়ি ভাঙচুর করবে, ভিসির বাসা ভাঙচুর করবে। সেটা বরদাস্ত করা হবে না।

জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এগুলোর বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মাদকাসক্তি শুধু মানুষ নয়, একটা পরিবারকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। ইসলাম ধর্মে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই, মানুষ খুন করার কথা বলেনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান রাজাকার আলবদর-আল শামসদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। যারা যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে লাখো শহীদের রক্তেরঞ্জিত পতাকা দিয়েছে, রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছে; যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, সাজা হয়েছে, সাজা কার্যকর হয়েছে। যারা এদের মদদ দিয়েছে, তাদের বিচারও বাংলার মাটিতে একদিন হতেই হবে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি বাংলাদেশকে বিশ্বের মধ্যে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে। কারণ, জাতির পিতার আদর্শ নিয়েই আমরা রাজনীতি করি। কারও কাছে ভিক্ষা চেয়ে হাত পেতে চলা নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াব। যতটুকু সম্পদ আমাদের আছে, ততটুকু দেশ গড়তে কাজে লাগাব। দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য।

Advertisement

এফএইচএস/জেএইচ/পিআর