নীলফামারীর ডোমার ও জলঢাকা উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে ৭ জন নিহত হয়েছেন। ঝড়ে রাস্তাঘাটে গাছ ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ ও যোগযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
Advertisement
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান ও ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ফাতিমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, ডোমার উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়নের গণি মিয়া (৪০), কেতকিবাড়ী ইউনিয়নের আফিজার রহমান (৪০), ভোগদাবড়ী ইউনিয়নের খোদেজা বেগম (৫০) ও জমিরুল ইসলাম (১২)। এছাড়া জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল খুচিমাদা গ্রামের আলমের স্ত্রী সুমাইয়া (৩০) ও ৩ মাস বয়সী মেয়ে মনি এবং পূর্ব শিমুলবাড়ী গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান (২২)।
এদিকে জেলার ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রোপা আমন ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিছিন্ন থাকায় যোগযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
Advertisement
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরকারি দফতরের পাশাপাশি ইউপি চেয়ারম্যানকে তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার সকালে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ডিমলা উপজেলার নাওপাড়া ইউনিয়নে জোতিন্দ্রনাথ রায় (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম লেলিন জানান, জোতিন্দ্রনাথ রায় ৮ বিঘা জমিতে ধানচাষ করেছিলেন। রাতের ঝড়ে তার সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। সেটা সহ্য করতে না পেরেই সকালে তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
জাহেদুল ইসলাম/এফএ/এমএস
Advertisement