দেশজুড়ে

যুবলীগ নেতা হত্যা : এমপি রানা রিমান্ডে

দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মাসুম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ এ মামলায় এমপি রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন।

এর আগে গত ৩ মে এমপি রানাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হলে গত বুধবার আদালত তা গ্রহণ করে এমপি রানাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।

Advertisement

এমপি রানা টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় বর্তমানে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টায় এমপি রানাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল আনা হয়। পরে তার উপস্থিতিতেই এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম। আসামি পক্ষের রিমান্ড না মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাকী মিয়াসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল জিবিজি কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যা চেষ্টার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম ঘাটাইল আমলী আদালতে এই মামলায় আমানুর রহমান খানকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য গত ৩ মে বৃহস্পতিবার আবেদন করেন।

Advertisement

আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার এমপি রানাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এ মামলায় তার (এমপি রানার) জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবি পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ বলেন, রিমান্ডের আবেদনের কপি পাওয়ার পর তার তাকে রিমান্ডে আনা হবে।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন।

এ ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন।

এরপর তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ ২০১৭ সালের ১১ মার্চ, ১৬ মার্চ শাহাদত হোসেন এবং ২৭ এপ্রিল হিরন মিয়া আদালতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

তারা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, সংসদ সদস্য রানার নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়।

আরিফ উর রহমান টগর/এএম/জেআইএম