নিজের নাম চেনানোর মঞ্চ আস্তে আস্তে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন ইমাম-উল-হক। এখন তাকে বেশিরভাগ মানুষ চেনে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হকের ভাতিজা হিসেবে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে গত বছর। এবার মর্যাদার টেস্ট ফরমেটেও স্বপ্নের অভিষেকের দ্বারপ্রান্তে ইমাম।
Advertisement
চলতি সপ্তাহেই টেস্ট অভিষেকটা হয়ে যেতে পারে ইমাম-উল-হকের। শুক্রবার আয়ারল্যান্ড নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওই টেস্টেই একাদশে জায়গা পাওয়া একপ্রকার নিশ্চিত ইমামের। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান প্রস্তুতি ম্যাচে জোড়া হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।
গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় ইমামের। অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বসেন তিনি। এখন পর্যন্ত চারটি ওয়ানডে খেলেছেন। টেস্টে জায়গা পাওয়াটা সময়ের ব্যাপার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। ২২ বছর বয়সী ইমাম কেন্টের বিপক্ষে ৬১ আর নর্দাম্পটনের বিপক্ষে হার না মানা ৫৯ রানের দুটি ইনিংস খেলেন।
এই দুটি ইনিংসের পর দলে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারে ভীষণ আশাবাদি ইমামও। মিসবাহ-উল-হক এবং ইউনিস খানের অবসরের পর পাকিস্তান ক্রিকেটে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তরুণদের সেটা পূরণের চেষ্টা করতে হবে বলেই মনে করছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
Advertisement
ইমাম বলেন, ‘এটা খুবই গর্বের অনুভূতি। সবাই জানে মিসবাহ-উল-হক আর ইউনিস খান কদিন আগেই অবসর নিয়েছেন এবং এখন তরুণদের অনেক কাজ করতে হবে। এগিয়ে এসে নিজেদের প্রমাণ করতে পারাটা সবসময়ই দারুণ। আমরা এই সিরিজটার দিকে তাকিয়ে আছি। চারদিনের ম্যাচে আমি রান করেছি, এটা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে। আশা করছি, এই সিরিজে ভালো করতে পারব।’
আর দশজন ক্রিকেটারের মতো টেস্টে খেলাটা স্বপ্ন, জানিয়ে ইমাম বলেন, ‘অবশ্যই এটা আমার প্রথম টেস্ট হবে, আমার প্রথম চাপের ম্যাচ। আমি খুব নার্ভাস থাকব। মিথ্যে বলব না-আমরা আসলে এটার জন্যই খেলি। ছোটবেলা থেকে আমার স্বপ্ন, দেশের হয়ে টেস্ট খেলব। আমি ভাবিনি, আমার প্রথম টেস্ট ম্যাচ আয়ারল্যান্ডে হবে, এটা আলাদা বিষয়। তবে একজন খেলোয়াড় হিসেবে আপনাকে সব কিছুর জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এমএমআর/জেআইএম
Advertisement