আর্থিকভাবে লাভবান হবে না- এই অজুহাতে বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করে দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। চলতি বছরের শেষের দিকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে এই সিরিজ আয়োজন করার কথা ছিল অসিদের।
Advertisement
বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন ‘অহেতুক’ বলেই মনে করছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। তারা মনে করছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের ম্যাচগুলো অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে কোনো আগ্রহই তৈরি করবে না। কেননা ওই সময়টায় জমজমাট ফুটবল মৌসুম চলবে অস্ট্রেলিয়ায়। তাই ‘ফ্রি টু এয়ার’ ব্রডকাস্টাররাও এই সিরিজটি নিয়ে আগ্রহী নয়, জানিয়েছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুটি টেস্ট এবং তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। এর আগে ২০০৩ সালে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া সফর করে বাংলাদেশ। তার পাঁচ বছর পর ২০০৮ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় বারের মত অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে যায় টাইগাররা। সেখানে ডারউইনে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচে অংশ নেয় মোহাম্মদ আশরাফুলের দল। আর সেটাই শেষ, তারপর গত দশ বছরে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
এবারের সিরিজটিও হওয়ার কথা ছিল কেয়ার্নস ও ডারউইন ভেন্যুতেই। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, এবার সিরিজ আয়োজন সম্ভব নয়। এই সময়টায় ফুটবল নিয়ে সবাই এতটাই ব্যস্ত থাকবে যে, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি আয়োজনের কোনো মানেই হয় না।
Advertisement
তবে ক্রিকইনফো জানিয়েছে, সফর বাতিল করলেও বিকল্প একটা ভাবনা আছে আলোচনার টেবিলে। সেটি হলো- ২০১৯ বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়া উল্টো বাংলাদেশ সফরে আসবে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব করেছি, তাদের জবাবের অপেক্ষায় আছি।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া সিরিজটা বাতিল করলো এই সময়ে, যখন তাদের বোর্ডের সঙ্গে ১ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের সম্প্রচার সত্বের চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পথে ফক্স স্পোর্টস ও সেভেন নেটওয়ার্কসের। পে টেলিভিশন নেটওয়ার্কে এই সিরিজটি সম্প্রচারের কোনো প্রস্তাব অস্ট্রেলিয়া ফক্স স্পোর্টসকে দিয়েছিল কি না, এই বিষয়টি অবশ্য পরিষ্কার নয়।
এদিকে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড জানিয়েছেন, এই সমস্যাটা থাকবে না যখন ২০১৯ সালের মাঝামাঝি থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হয়ে যাবে। এই ফরমেটে পয়েন্টের হিসেব থাকায় অস্ট্রেলিয়া এবং অন্য দলগুলোর যাদের বিপক্ষে খেলা পড়বে, তাদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলতেই হবে।
এ সম্পর্কে সাদারল্যান্ড বলেন, ‘যদি আমাদের (বাংলাদেশের বিপক্ষে) খেলা পড়ে, তবে আমাদের ঘরে খেলতে হবে। যখন আপনি চ্যাম্পিয়নশিপে থাকবেন, পরিস্থিতিটাই হবে প্রতি ম্যাচে জয় চাই। কারণ তখন পয়েন্ট দরকার পড়বে, ছাড় দেয়ার সুযোগই নেই। তাই আপনাকে ঘরে খেলতে হবে এবং জেতার চেষ্টা করতে হবে। কারণ এই পয়েন্টগুলো দিনশেষে বড় সেরা এক দুইয়ে থাকা বা ফাইনালে উঠার বিষয়টি নির্ধারণ করবে।’
Advertisement
এমএমআর/এমএস